ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ - ৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

পাকিস্তানে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে থানায় ঢুকে অভিযুক্তকে গুলিকরে হত্যা ক্ষুব্ধ জনতার

  • আপডেট: Friday, June 21, 2024 - 9:33 am

জাগোজনতা অনলাইন : কোরআনের কিছু পৃষ্ঠা পুড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের শিয়ালকোট জেলার মহম্মদ ইসমাইল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোরআনের পাতা পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

পরে উত্তেজিত জনতা থানায় ঢুকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে শাস্তি দেয়। শুধু তাই নয়, বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপরেও গুলি চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা। কার্যত রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াতের মাদিয়ান এলাকায়।

ঘটনার সূত্রপাত কোরআনের কিছু পৃষ্ঠা পুড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে। শিয়ালকোট জেলার মহম্মদ ইসমাইল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোরআনের পাতা পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু, কোরআন পোড়ানোর খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কোরআনের অবমাননাকর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জনতা। এরপর ইসমাইলকে শাস্তি দিতে চেয়ে থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা। তারা অভিযুক্তকে তাদের হাতে তুলে দিতে বলে পুলিশকে। কিন্তু, তা না করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বাধা পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পালটা পুলিশও গুলি চালায়। দুপক্ষের গুলি বিনিময়ে একজন গুলিবিদ্ধ হন। তারপরও পুলিশ ক্ষুব্ধ জনতাকে আটকাতে পারেনি। তারা থানার ভিতরে ঢুকে ইসমাইলকে গুলি করে হত্যা করে এবং থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর ইসমাইলের মৃতদেহ টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে মাদিয়ানে ঝুলিয়ে দেয়।

সোয়াতের জেলা পুলিশ অফিসার (ডিপিও) জাহিদুল্লাহ জানান, এই ঘটনায় আট জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে মাদিয়ানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। গুরুতর আহত একজনকে মাদিয়ান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন এলাকার পুলিশ প্রধানের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। তিনি এলাকা শান্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকেও শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ইসমাইল মাদিয়ানের একটি হোটেলে ছিলেন। খবর পেয়ে তার সুরক্ষার জন্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছ থেকে ইসমাইলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে থানায় হামলা চালায়।