ঢাকা | নভেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৫:৩০ অপরাহ্ন

কাঁচা চামড়া কেনাবেচায় চাঁদাবাজি-প্রভাব দেখাবে কঠোর ব্যবস্থা: ডি এম পি কমিশনার

  • আপডেট: Sunday, June 16, 2024 - 4:09 am

জাগোজনতা প্রতিবেদন : কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচায় চাঁদাবাজি বা কেউ প্রভাব বিস্তার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আজ শনিবার ডিএমপি সদরদপ্তরে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, চামড়া কেনাবেচায় যাতে কেউ সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। ঈদের দিন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, গাবতলী ও অন্যান্য এলাকার ব্রিজের ওপর বা রাস্তার ওপর চামড়া বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। লবণের দাম যেন বৃদ্ধি না পায় এবং কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, কাঁচা চামড়া পাচার রোধে ঢাকা থেকে বহিঃগমন পথগুলোতে চেকপোস্ট ও পুলিশের টহল বসানো হবে। শুধুমাত্র গাবতলী হয়ে চামড়ার গাড়িগুলো হেমায়েতপুর পর্যন্ত যেতে পারবে। এছাড়াও সব জেলার চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে বাইরে যেতে না পারে সে ব্যাপারেও আইজিপির নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান তিনি।

ঈদের ছুটিতে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চেকপোস্ট, টহল, ফুট প্যাট্রোল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সেই সঙ্গে প্রত্যেকটি বাসা বাড়িতে এক বা দুজন প্রহরী থাকেন, তারাও আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, চামড়া ব্যবসায়িরাসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা ছিলেন।