দেশবাসীকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানালেন ধামরাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার
সিনিয়র রিপোর্টার।।
মুসলমান ধর্মাবলীদের দুটি সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল আযহা। ইসলামি চান্দ্র পঞ্জিকায় ঈদুল আযহা জ্বিলহজ্জের ১০ তারিখে পড়ে। সাধারণত এক বছর থেকে আরেক বছর ১০ বা ১১ দিন করে কমতে থাকে। ঈদের তারিখ স্থানীয়ভাবে জ্বিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ইসলামিক আইন অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের দুই মাস দশ দিন পর পালিত হয় ঈদুল আযহা।মুসলমানদের বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উপলক্ষে ধামরাই বাসি সহ দেশবাসীকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ধামরাই উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার ।ঈদুল আযহা সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও শান্তি। মানুষের ভিতরে থাকা হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার ও লোভ- লালসা পশুর কুরবানির ন্যায় এসব ব্যবহারের হোক কুরবানী।ধনী গরীবের বৈষম্য ভুলে ঈদের আনন্দ সবার জীবনে বয়ে আনুক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও অনাবিল সুখ ও শান্তি।
দৈনিক জাগো জনতা পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ইউসুফ আলী খান এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে ধামরাই উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা বলেন, ঈদুল আযহা বা ঈদুল আজহা বা ঈদুল আদহা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের একটি । চলতি কথনে এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আযহা মূলত আরবি বাক্যাংশ। এর অর্থ হলো ‘ত্যাগের উৎসব’। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ফযরের নামাযের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাক্বাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে, পরে স্ব-স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানির সাথে সাথে মানুষের মনের মধ্যে থাকা পশুটিরও কুরবানী করা হয় এবং একে অপরের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে উঠে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে যাদের কুরবানী করার সামর্থ্য আছে তারা ইসলামের শরিয়া আইন অনুযায়ী কোরবানি করব এবং কোরবানির গোস্ত নিয়ম অনুযায়ী তিনটি ভাগে ভাগ করে এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের জন্য এবং এক ভাগ সাধারণ গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের মাঝে ভাগ করে দিবো।
এ সময় তিনি ঈদে ঘরমুখো মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যারা বাড়িতে পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বাড়ি যাচ্ছেন, তারা তাড়াহুড়ো করে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করবেন না। কারণ একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। তাই দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলুন, নিরাপদে বাড়ি ফিরুন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন।
পরিশেষে ধামরাই বাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমান সম্প্রদায়কে জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ঈদ মোবারক।