এস আলমের পোড়া চিনির ‘লাভা’ এখনও যাচ্ছে কর্ণফুলীতে
জুনাত আরমান কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)।।
৪৩ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও চট্রগ্রামের কর্ণফুলী এস.আলম সুগার মিলের লাগা আগুন এখনো পর্যন্ত পুরোদমে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। গোড়াউনে ভিতরে থাকা চিনির স্তুপটি এখনো পর্যন্ত আগুন পুরোদমে জ্বলছে। ধোঁয়া ছড়াচ্ছে আশেপাশে এলাকায়। চিনির স্তুপটি আগুনে পুড়ে বর্জ্যগুলো কারখানার ড্রেন দিয়ে সোজা পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে করে নদী দূষনের আশংকা করছে স্থানীয় একালাবাসীরা। চিনির বিষাক্ত কেমিক্যাল নদীতে পরায় মারা যাচ্চে নদীর মাছ।
আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টায় এস আলম সুগার মিল কারখানায় আগুন লাগে গভীর রাত পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১৮ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এতে যোগ দেয় নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনী,র্যাব,কোস্ট গার্ড, পুলিশ আরো অনেকে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট আগুন নিভানোর কাজ করে।
কর্ণফুলি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত জানান, এস আলম সুগার মিলের আগুন নির্বাপণ কাজে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্য, নৌবাহিনীর সদস্যের দুটি টিম, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য সহযোগিতা করছেন।
এস.আলম সুগার মিলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী জানান, কারখানার পুরো প্রসেসিং যন্ত্রপাতি এবং কারখানা নিরাপদ রয়েছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য গোডাউন থেকে কারখানার মূল প্ল্যান্টে আসার বেল্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক জানান, প্রাথমিকভাবে গুদামটিতে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এলেও ওপর থেকে পানি ছিটানোর সুযোগ পায়নি। চারদিক থেকে বদ্ধ গুদামে উত্তপ্ত টিনের ছাদ কেটে ভেতরে ঢোকারও সুযোগ ছিল না। অল্পকিছু ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করা যায়নি।
এস আলম গ্রুপের প্রধান ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তাইন বিল্লাহ আদিল বলেন, ‘আমরা এখন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি, যাতে চিনিকল ও অন্য গুদামগুলোতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে।’