ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ - ১২:৩৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম

জান্তার শেষ ঘাঁটি দখল আরাকান আর্মির, হুমকিতে রাখাইনের রাজধানী

  • আপডেট: Wednesday, March 6, 2024 - 8:13 am

জাগো জনতা ডেস্ক : মিয়ানমারের আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের সামরিক জান্তার সর্বশেষ একটি ঘাঁটি দখল করে নেওয়ার দাবি করেছে। স্থানীয় সময় সোমবার সামরিক জান্তার ৫৫০তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে পরাজিত করার পর আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের পোন্নাগিউন শহর দখল করেছে বলে জাতিগত এই সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছে।

পোন্নাগিউন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ের থেকে মাত্র ৩৩ কিমি উত্তর-পূর্বে, যেটি বর্তমানে আরাকান আর্মি ঘিরে রেখেছে বলে সিতওয়ের একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন। সামরিক ঘাঁটি দখলের সময় সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান ও নৌবাহিনীর যুদ্ধযান থেকে বোমা হামলা করা হয়।

আরাকান আর্মির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় তারা। একপর্যায়ে পোন্নাগিউনের পতনের পর সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান জাই তি পিয়ান ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়। এই ব্রিজটি পোন্নাগিউন ও রাথেডাংকে সংযুক্ত করেছিল।
সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে সেখানে ১২ বার হামলা চালায় সামরিক জান্তা।

মঙ্গলবার পর্যন্ত আরাকান আর্মির কাছে আটটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সামরিক বাহিনী। এর মধ্যে আছে চিন রাজ্যের পালেতোয়া। এর বাইরে আছে বিপুল পরিমাণ বড় ঘাঁটি ও আউটপোস্ট, নৌযান। আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র ইউ খাইং থুখা সোমবার একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘রাখাইন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং রাজ্য থেকে সামরিক শাসন উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত এএ লড়াই চালিয়ে যাবে।

পোন্নাগিউনের দখল করে নেওয়ায়, এএ রাজধানী সিতওয়ের জন্য একটি বড় হুমকি। রাজ্যের এই রাজধানী পোন্নাগিউন থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটের দূরত্বে এবং এএ বাহিনী সহজেই রাজধানী সিতওয়েকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণিত করতে সক্ষম হবে বলে একজন সামরিক বিশ্লেষক ‘দ্য ইরাবতী’-কে বলেছেন। ওই সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, সামরিক জান্তার সেনাদের কাছ থেকে যেসব অস্ত্র জব্দ করেছে আরাকান আর্মি, এখন সেসব ব্যবহার করেই তারা রাজধানীতে সামরিক ঘাঁটি টার্গেট করতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, ‘সিতওয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় পোন্নাগিউন থেকে ছোড়া গোলা সেখানে সহজেই আঘাত হানতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এএ রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধে জিতেছে কিন্তু এর মানে এই নয় যে তাদের পুরো রাজ্য দখল করার ক্ষমতা আছে।

সিতওয়ে রাখাইনে জান্তা প্রশাসনের আবাসন এবং সেনাবাহিনীর পশ্চিমী কমান্ডের আবাসস্থল। এদিকে রাজধানীর অধিকাংশ বাসিন্দা সেখানে আটকে পড়েছে, কারণ জান্তা সেনারা সব রাস্তা এবং জলপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এখন ভ্রমণের একমাত্র পথ বিমান।
সূত্র : দ্য ইরাবতী