ঢাকা | নভেম্বর ২৪, ২০২৪ - ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

উচ্ছেদের পর আবারো দখল বাণিজ্যে নতুন ব্রিজ বশিরুজ্জামান চত্বর

  • আপডেট: Wednesday, February 28, 2024 - 9:11 am
এম আর আমিন, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের ফুটপাতে হকার উচ্ছেদে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে। উচ্ছেদকৃত স্থানে কোনো হকার বসলেই করা হচ্ছে উচ্ছেদ। তাছাড়া ফুটপাত ও সড়ক দখল করে নতুন করে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না বলে চাব জানিয়ে দিয়েছেন চসিক। এ নিয়ে চসিক কড়া বার্তা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।তাছাড়া ফুটপাত উদ্ধারে নাগরিক দাবিও জোরালো হচ্ছে।চসিক গত ৮ ফেব্রুয়ারি একযোগে সাতজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরের ফলমন্ডি লেন থেকে নিউমার্কেট, জিপিও, আমতলা পর্যন্ত অবৈধভাবে সড়ক-ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা প্রায় ১ হাজার স্থাপনা উচ্ছেদ করে। তারই ধারাবাহিকতায় নগরীর নতুন ব্রিজসংলগ্ন  বশিরুজ্জামান চত্বর থেকে বাস্তুুহারা নোমান কলেজ এবং বেড়া মার্কেট পর্যন্ত রাস্তা দখল করে ঘরে ওঠা অবৈধ ভাসমান মার্কেট এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর এখানেও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। দখল  মুক্ত করা হয় দীর্ঘদিন দখলে থাকা ফুটপাত ও সড়ক।
 রাস্তা দখলমুক্ত হওয়ার পর সড়কে যানজট যেমনি কমেছে তেমনি ফুটপাত দিয়ে  স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পেরে স্বস্তি  প্রকাশ করেছেন এলাকার জনসাধারণ। রাস্তায় চলাচল রত বিভিন্ন পথচারী ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় আগে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই দুষ্কর ছিল এবং ভাসমান ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম ইভটিজিং করত,এখন ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় সেই যন্ত্রণার থেকে রেহাই পেয়েছি। এই কারণে চট্টগ্রামবাসীর অভিভাবক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মহোদয় কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নগরবাসী।
সম্প্রতি নতুন ব্রিজ বশিরুজ্জামান চত্বরে সেই ফুটপাত নিয়ে আবারো শুরু হয়েছে দখল বাণিজ্য। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় আবারো দখল হতে চলেছে ফুটপাত ও সড়ক।খোঁজ নিয়ে জানা যায় বাকলিয়া থানার পুলিশ পাড়ির ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানার নেতৃত্বে পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী হকার কামাল ও তার ভাগিনা নুর ইসলামেরচোখ যোগসাজেসে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে আবারও ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে হকারদের কাছ থেকে ভোটার আইডি, ছবি ও নগদ ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বিভিন্ন হকাররা জানান হকার হকার কামাল তাদের বলেছে  এগুলো ফাড়ির ইনচার্জ সোহেল রানা স্যারের নেতৃত্বে চলবে। টাকা না দিলে এখানে কেউ বসতে পারবে না, যারা টাকা দিবে শুধু তারাই বসতে পারবে। এ ব্যাপারে জানতে হকার কামালের মুঠোফোনে ফোন করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে যার নেতৃত্বে আবারও ফুটপাত ও সড়ক  দখল করে ভাসমান হকার বসানোর অভিযোগ উঠেছে সেই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল রানার মুঠোফোনে বারবার ফোন করলেও  তিনি ফোনটা রিসিভ করেনি। এর আগেও বাকলিয়া থানা পুলিশ ফাঁড়ির  ইনচার্জ সোহেল রানার বিরুদ্ধে সড়কের উপরে হকার বসিয়ে চাঁদাবাজি  এবং বিভিন্ন জায়গায় জুয়ার বোর্ড বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
সড়ক ও ফুটপাত ভাসমান হকারদের রাহু গ্রাস থেকে রক্ষা করে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সেখানে কিছু অবৈধ দখলবাজ, চাঁদাবাজ ফুটপাত ও সড়ক দখল করে বিশেষ ফায়দা লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম বলেন যেখানে হকার বসবে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চলবে, কোনভাবে সড়ক ও ফুটপাত দখল করা যাবে না।চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জনসাধারণের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ এবং  অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।