প্রান্তিক মানুষের জন্য টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়নের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী ইশতেহার ও অঙ্গীকারে এবং নির্বাচন উত্তর কার্যক্রমে প্রান্তিক মানুষের জন্য কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্তি ও বাস্তবায়নের যে কথা বলেছিলেন তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিরা। বুধবার ( ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) রাত ৮টায় কাকরাইলের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও ঢাকা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপির সাথে এক সভায় প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন দাবিগুলো তুলে ধরেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাপার যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুর রসুল, বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজা, ডিএসকের কনসোর্টিয়াম কো-অর্ডিনেটর মো: রকিবুল ইসলাম, বারসিকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফেরদৌস আহমেদ, কাপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুল হক, ইনসাইটস’র মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনস ম্যানেজার নিগার রহমান সহ আরো অনেকে।
সভায় শুরুতে নিগার রহমান প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে বলেন, নির্বাচনের পূর্বে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রান্তিক মানুষের বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেছিলাম এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে আমাদের প্রস্তাবনা থেকে অনেক কিছু তারা গ্রহণ করেছিলেন এজন্য আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। এবং পাশাপাশি আমরা চাই বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার তাদের কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে সেই প্রস্তাবনাগুলোর বাস্তবায়ন করুক।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সুন্দর ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ একটি সার্বিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছি। আমার নির্বাচনী এলাকার তিনটি ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত যেখানে বস্তি নেই। কিন্তু আপনারা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বাজেট বৃদ্ধি, ৪-আর রোডম্যাপ, নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ, পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, কমিউনিটির অংশগ্রহণ সহ যে প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছেন আমরা সেগুলো মাননীয় মেয়রকে জানাবো এবং আমরা আমাদের বর্তমান কার্যক্রমের সাথে সেগুলো যুক্ত করে কাজ করবো। তাছাড়া, সরকার ৯ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং কিভাবে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে একটি কর্ম-পরিকল্পনা করছে। আমরা সবাই চাই একটি স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে। কামরাঙ্গীর চর এলাকা ১৫ বছর আগে যা ছিলো এখন তার সাথে কোন মিল নেই। সেখানে নাগরিক সকল সুবিধা এখন মানুষ পায়।
এসময় বাপা’র যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুর রসুল বলেন, বর্তমান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করতে আগ্রহী। ইতোমধ্যে পরিবেশ মন্ত্রনালয় ১০০ দিনের কাজ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমরা একটি স্মার্ট নগরায়নের জন্য চাই একটি স্মার্ট কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
সুপারিশঃ
১. সকল নগরবাসীর (প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও লিঙ্গ বৈচিত্র্য গোষ্ঠী) সমান সুযোগ ও অধিকার সমুন্নত রেখে, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ উন্নয়নে পরিকল্পিত, সমন্বিত ও টেকসই পয়ঃনিষ্কাশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
২. সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি), প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরকরণ, চলমান অর্থনীতি (সার্কুলার ইকোনমী) প্রবর্তন এবং টেকসই ও মানসম্পন্ন নগর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৪-আর কর্মসূচির বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. কমিউনিটি নেতৃত্বাধীন টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন, ডিজিটাল মনিটরিং ও তদারকি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এ সভায় বস্তিবাসী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রান্তিক পর্যায়ের অনেকেই অংশগ্রহণ ও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।