আমতলীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল চৌধূরীর ১০ বছরের জেল
রাঙামাটি প্রতিনিধি।। জাল ষ্ট্যাম্প বিক্রির অপরাধে দায়েরকৃত মামলায় রাঙামাটির বহুল আলোচিত আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক রাসেল চৌধুরীকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ কামাল হোসেন সিকদার আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই কাঠগড়ায় থাকা আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে নিয়ে যায়।
এই মামলা পরিচালনাকারী অতিরিক্ত মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কানু রাম শর্মা রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন,জাল ষ্ট্যাম্প বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার সময় রাসেল ও বেলাল হাতেনাতে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় বিগত ২০০৬ সালের নভেম্বরে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো। দীর্ঘ সময় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামীরা অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় প্রদান করেছেন।
অতিরিক্ত পিপি বলেন, রায়ে ১০ বছরের সাজার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশও দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার সময় আসামী রাসেল চৌধুরী ও অপর আসামী বেলাল হোসেন সৈকত আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, বিগত ২০০৬ সালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন সিইপিজেড মোড়স্থ আবাসিক হোটেল অরিয়ন থেকে ৫৬ হাজার ৮০০ টাকার জাল রেভিনিউ ষ্ট্যাম্পসহ রাঙামাটির রাসেল চৌধুরী ও তার সহযোগি বরগুনা জেলার তালতলী থানাধীন সখিনা গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন সৈকতকে আটক করেছিলো র্যাব।
এই ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(ক)(খ)ধারায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নাম্বার-২০(১১)২০০৬ইং। জি আর নং-৪৮৩/২০০৬। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর আড়াই মাস পর এই মামলার রায়ে আসামী রাসেল চৌধুরী ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করলো।
এই মামলায় মোট চার আসামীর মধ্যে শুরু থেকেই দুই আসামী পলাতক রয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মূল আসামী রাসেল ও ২নং আসামী বেলাল হোসেন সৈকত আদালতে উপস্থিত ছিলো। রায়ের পরপরই আসামীদের জেল হাজতে নিয়ে গেছে পুলিশ।