আশুলিয়ায় শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ঈগলের উঠান বৈঠকে জন সমুদ্র
ইউসুফ আলী খান।।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ঢাকা- ১৯ সাভার আশুলিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ এর ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণার উঠান বৈঠক জন সমুদ্রে পরিণত হয়।
বৃহস্পতিবার ৪ জানুয়ারি রাত ৭ ঘটিকায় ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী গাজীর চট আকবর মন্ডল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়নাল হক মাদবর এর সভাপতিত্বে এবং সাভার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন খান এর সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৯ সাভার আশুলিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ।
বিকাল ৫ টা থেকে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে বর্ণাঢ্য ঈগলের মিছিল সহকারে দলে দলে যোগদান করেন। ঈগল ঈগল স্লোগানে মুখরিত হয় ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সহ কর্মী সমাবেশস্থল।
এছাড়া অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন,সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সাভার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, সাভার পৌরসভার প্যানেল মেয়রসহ প্রমুখ।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মন্ডল, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য সিরাজুল ইসলাম দেওয়ান, হাজী মোঃ আতাউর রহমান খান, মুনসুর মাদবর, হারন ভান্ডারী, নজরুল ইসলাম খান, জাহিদুল ইসলাম মিন্টু, সাজ্জাদ হোসেন খান, সোলায়মান ইসলাম, তাইজুল ইসলাম সোহাগ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, আলিফ খান, ইয়াকুর খান, বিজয় মোঃ সাগর খান সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন এবং সাধারণ জনগণের কাছে দোয়া চেয়ে মুরাদ জং বলেন, আমি বিগত ১০ বছর আপনাদের ছেড়ে দূরে ছিলাম। আমি এবার আপনাদের কাছে এসেছি। আমার জন্য কি মায়া লাগে না? যদি আমার জন্য মায়া লাগে তাহলে আপনারা সবাই ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আবার নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।
এ ছাড়া তিনি উপস্থিত জনগণের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন রানা প্লাজা কি আমি ফালাইছি? রানা প্লাজার মালিক কি আমি? রানা প্লাজায় কি আমার কোন ব্যবসা আছে? নাকি আমার কোন দোকান আছে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের জন্য কি আমার মায়া লাগে না? রানা প্লাজা ধ্বংসের খবর শুনে আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে দৌড়ে আসি, এবং যতদিন পর্যন্ত উদ্ধার কার্যসম্পন্ন না হয়েছে ততদিন পর্যন্ত আমি এক কাপড়ে এই উদ্ধারকার্য পরিচালনা ও দেখাশোনা করি। আমি বাসায় পর্যন্ত যাইনি। আমিও তো মানুষ তাহলে কেন আমাকে রানা প্লাজার ইস্যুতে দোষী করা হলো এর বিচার আমি আপনাদের কাছে দিয়ে গেলাম। আগামী ৭ তারিখ নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্ত করবেন এই আশায় ঈগল মার্কা আমি আপনাদের হাতে তুলে দিয়ে গেলাম।
তিনি আরও বলেছেন, ২০০১ সালে আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিলে আপনাদের ভোটে আমি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। ১০ বছর পর আবার যখন সুযোগ এসেছে তাই আমি আপনাদের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল মার্কায় নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে চাই। আপনাদের ভালো-মন্দ সংসদে তুলে ধরতে চাই। তাই আপনাদের কাছে ঈগল মার্কায় একটি করে ভোট চাই।