ঢাকা | ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫ - ২:১৭ অপরাহ্ন

৯ ডিগ্রিতে নেমেছে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, ঘন কুয়াশায় স্থবির জনজীবন

  • আপডেট: Friday, December 26, 2025 - 9:49 am

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি।। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা, হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন। ভোর ছয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ডের সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৫ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ থেকেই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। হাড়কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে দিনমজুর, ভ্যানচালক ও শ্রমিকদের বের হতে হচ্ছে।

শহর ও গ্রাম-উভয় এলাকাতেই শীতের প্রভাবে কর্মচাঞ্চল্য কমে এসেছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা কমছে না।

শীতের প্রকোপ বাড়ায় জেলাজুড়ে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ রোগীর ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ জন রোগী শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানা সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শহরের হোটেল ব্যবসায়ী আব্বাস আলী জানান, ফজরের আজানের পরই হোটেল খুলতে হলেও ভোরের ঠান্ডায় পানিতে হাত দিলে অবশ হয়ে আসে। তবুও জীবিকার তাগিদে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। চা-দোকানি আকাশ হোসেন বলেন, প্রচণ্ড শীতে মানুষের আনাগোনা কমে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে দেরিতে দোকান খুলছেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, আজ সকালে রেকর্ড করা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন। বর্তমানে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।