ঢাকা | ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫ - ১:৩২ অপরাহ্ন

দেড় যুগ পর পুলিশ ক্যাডার হলেন আলোচিত দম্পতি

  • আপডেট: Friday, December 19, 2025 - 7:26 pm

সিনিয়র রিপোর্টার।। ২০০৭ সালে সরকার বদলের গ্যাঁড়াকলে বাতিল হয় আলোচিত ২৭তম বিসিএস। সেই বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন এক দম্পতি। দীর্ঘ ১৮ বছরের রুদ্ধশ্বাস আইনি লড়াই শেষে অবশেষে জয়ের হাসি হাসলেন তারা।

 

উচ্চ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৬৭৩ প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই নিয়োগ তালিকার সবচেয়ে আলোচিত এবং উজ্জ্বল নাম হয়ে উঠেছেন দম্পতি মোহাম্মদ ওয়াজকুরনী এবং আফরোজা হক খান।

 

জনপ্রশাসনে নিয়োগপ্রাপ্ত ৭০ জন পুলিশ ক্যাডারের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন এই অদম্য দম্পতি। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকলেও, নিজেদের পছন্দের ক্যাডারে যোগ দেয়ার স্বপ্ন বিসর্জন দেননি তারা। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেবেন। ওয়াজকুরনী বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা এবং বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক এবং তার স্ত্রী আফরোজা হক খান দুর্নীতি দমন কমিশনে কর্মরত।

 

ওয়াজকুরনী ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। আর আফরোজা হক খান ভারতেশ্বরী হোমস থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।

 

দীর্ঘ ১৮ বছর আগের সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে ধরা দেয়ায় আবেগে আপ্লুত এই দম্পতি ও তাদের পরিবার। তারা জানান, এই রায় কেবল তাদের ব্যক্তিগত জয় নয়, বরং এটি পিএসসির মতো একটি স্বাধীন সংস্থার স্বচ্ছতা ও বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

 

জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের শেষ দিকে এই বিসিএসের প্রক্রিয়া শুরু হলেও ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করা হয়েছিল। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে চলা এই আইনি লড়াইয়ের পর গত ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে প্রথম সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগের পথ প্রশস্ত করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যেন সেই দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান ঘটল।

 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নবনিয়োগপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তাকে আগামী ১ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে।