ঢাকা | ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ - ১০:৪৯ অপরাহ্ন

পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা উন্নয়ন বজায় রাখতে আমরা এখানে আছি : জোন কমান্ডার

  • আপডেট: Friday, December 12, 2025 - 7:28 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বান্দরবানের আলীকদম সেনাজোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোঃ আশিকুর রহমান আশিক বলেছেন, “আপনারা আপনাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠান, তারা যেন লেখাপড়া করে শিক্ষিত হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবদান রাখতে পারে। শান্তি শৃঙ্খলা উন্নয়ন বজায় রাখতে আমরা এখানে আছি। আমরা চাই আপনারা নিরাপদে থাকেন।”

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার দূর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নে নবনির্মিত কুরুকপাতা বৌদ্ধ বিহারের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “কুরুকপাতা ইউনিয়ন কিন্তু মায়ানমার বর্ডারের সাথে রয়েছে। আপনারা জানেন, এই বর্ডার দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, মাদক এসব বাংলাদেশে ঢুকছে। এই অস্ত্রগুলো আপনার উপরেই ব্যবহার হবে। মাদকের কারণে আপনার সন্তান বিপথে যাবে। আমি অনুরোধ করবো, আপনাদের সমাজে অনেক তরুণ, যুবক আছে, তাদেরকে এসব অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখার দায়িত্ব আপনাদের। আমরা চাই আপনারা শান্তিতে থাকুন, আপনারা শান্তিতে থাকলে আমরাও ভালো থাকি। আপনারা কেউ মনে করবেন না যে সেনাবাহিনী আপনাদের ক্ষতি করার জন্য এখানে আছে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আপনারা যেন নির্ভীক হয়ে থাকতে পারেন।”

কুরুকপাতা বৌদ্ধ বিহারের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ৪ নম্বর কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো সভাপতিত্বে ও মেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নেপিউ ম্রো সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৩১ বীর আলীকদম সেনাজোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোঃ আশিকুর রহমান আশিক, এসপিপি, পিএসসি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম সেনাজোনের উপ-অধিনায়ক মো. হাসান পলাশ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম রিমন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য লেংক্লাং ম্রোসহ, মার্মা-ম্রো সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি, দায়ক-দায়িকারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

জোন কমান্ডার আরও বলেন, “কুরুকপাতা ইউনিয়নের অনেক গুলুপাড়াতে পানির সমস্যা রয়েছে। সেই পাড়াগুলোতে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে মোটর দিয়ে নিচ থেকে পানি তুলতে পারেন। ইতিমধ্যে আমরা ৭০ লক্ষ টাকার মতো কাজ করেছি বিভিন্ন পাড়াগুলোতে। পাহাড় ভাঙা পাড়া এলাকায় নতুন স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত দূর্গম পাড়াগুলোতে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, সেখানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ছোট ছোট ঔষধের দোকান করতে পারি কিনা, এ বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”

এসময় ধর্মাবলম্বী ম্রো–মার্মা সম্প্রদায়, ভান্তে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বৌদ্ধবিহার উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আলীকদম সেনা জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ, সুবিধাবঞ্চিত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ, এবং বৌদ্ধবিহারের উন্নয়নে জেলা পরিষদ ও সেনা জোনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।