বাঘাইছড়িতে বিজিবি কর্তৃক ফ্রি মেডিকেল সেবা প্রদান
মোঃ মহিউদ্দিন, বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি।
মারিশ্যা জোনের তত্ত্বাবধানে আনুমানিক দেড় শতাধিক স্থানীয় সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল মাঠে দিনব্যাপী এ চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পটির আয়োজন করে (২৭ বিজিবি) মারিশ্যা জোন।
মেডিকেল ক্যাম্পে স্থানীয় অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের দোরগোড়ায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালি নারী, পুরুষ ও শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্য পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়। চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন মারিশ্যা জোনের আরএমও ক্যাপ্টেন অমিত কুমার সাহা।
পাহাড়ি এলাকার সাধারণ মানুষ বিজিবি’র এমন মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, “বিজিবি সবসময় পাহাড়ের মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।” ভবিষ্যতেও এ ধরনের মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
এসব অঞ্চলের দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বিজিবি’র এই উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে মারিশ্যা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও কর্মসূচিতে জোন উপ-অধিনায়ক মেজর এম. শাহিনুর রহমান, পদাতিক ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান এবং স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মারিশ্যা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, পিএসসি বলেন-
“স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। সমাজের সকল মানুষ, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির জন্য সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকার। এই মেডিকেল ক্যাম্পেইন সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের একটি অংশ। আজকের ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষের যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আমরা পেয়েছি, তা ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ আকারে সেবামূলক কার্যক্রম চালানোর অনুপ্রেরণা যোগাবে।”
তিনি আরও জানান যে, ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পেইনের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। “সাধারণ মানুষের কল্যাণে আমরা সবসময় পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। উন্নয়ন এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতি উন্নয়ন আরও সুদৃঢ় হবে। পরিশেষে সকল স্থানীয় জনগণকে মেডিকেল ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”











