ঢাকা | ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ - ৩:২৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

  • আপডেট: Wednesday, December 3, 2025 - 11:21 am

জাগো জনতা অনলাইন।। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসের পরও সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আজ বুধবার থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।

বর্তমানে সহকারী শিক্ষকেরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩ তম গ্রেডে বেতন পান। অন্যদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১ তম। আন্দোলনের মুখে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষকরা বলছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে ২২ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরই প্রতিবাদে পরীক্ষা বর্জনসহ বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

তিন দফা দাবি হলো—সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।

শিক্ষক নেতারা জানান, কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের চারজন আহ্বায়ক মো. আবুল কাসেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি ও মু. মাহবুবুর রহমানকে এবং ২০২৩ ও ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১১টায় দেশের সব উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে।

দাবি আদায়ে প্রাথমিকের শিক্ষকরা গত ৯ নভেম্বর কর্মবিরতি শুরু করেন। এর আগের দিন ঢাকার শাহবাগে পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং জলকামান ব্যবহারের ঘটনায় শতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষক আহত হয়েছিলেন।

ওই ঘটনার পর চারটি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।

দুদিন পর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আশ্বাস পেয়ে শিক্ষকরা কর্মবিরতি কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেন। তবে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।