ঢাকা | ডিসেম্বর ২, ২০২৫ - ১২:৪৬ অপরাহ্ন

অশান্ত পাহাড় থেকে সেনা সরানোর ঘুঁটি ঘুরছেই

  • আপডেট: Tuesday, December 2, 2025 - 10:24 am

মোস্তফা কামাল।। সময়পরিক্রমায় আটাশ বছরে পার্বত্য চুক্তি। চুক্তির প্রত্যাশা-প্রাপ্তির হিসাবে এখনো গরমিল। লাখ লাখ পাহাড়ি বাসিন্দার কাছে হিসাবটি তুলনামূলক বেশি প্রাসঙ্গিক। তারা কূল পাচ্ছে না, শান্তিচুক্তি পাহাড়ে শান্তি এনেছে, না জটিলতা আরও বাড়িয়েছে? শান্তিচুক্তির আগে পাহাড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-পিসিজেএসএস বিভিন্ন জাতীয় রাজনৈতিক দলের সমান্তরালে পাহাড়ে অশান্তি করেছে।

তবে নামে ছিল ‘শান্তিবাহিনী’। এ নামাবলিতে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি, খুন, গুম, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। চুক্তির পর তাদের মধ্যে বিভাজন এলেও ত্রাস বন্ধ হয়নি। যতটুকু দমছে কেবল সেনাবাহিনীর তৎপরতায়।

সিভিল প্রশাসন বা অন্য বাহিনীকে তারা তোয়াক্কাই করে না। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রহরী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ সেনাবাহিনী। সেই অঙ্গীকার তারা রক্ষা করে চলছে। তা চরম অসহ্য ওই দুষ্টচক্রের কাছে।

মাঝেমধ্যেই তারা পার্বত্যাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের হাইপ তোলে। সক্ষম হয় বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, এনজিওসহ কিছু মহলকে দিয়ে সেনা প্রত্যাহারের দাবির সপক্ষে নামাতেও।
এর পেছনের পরিপ্রেক্ষিতটা বড় নির্মম। সাতানব্বইর ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল পাহাড়ি জনপদে শান্তির আশায়। নামকরণও হয়েছিল ‘শান্তিচুক্তি’।

কিন্তু কাঙ্ক্ষিত শান্তির দেখা মেলেনি। অশান্তির হোতারা ভাগে ভাগে, নামে নামে অশান্তি আরও বাড়িয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সংস্কার (পিসিজেএসএস এমএন লারমা গ্রুপ), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট সংস্কার (ইউপিডিএফ সংস্কার), কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএফ), মগ ন্যাশনাল পার্টি বা মগ ন্যাশনাল আর্মি (এমএনপি) কত যে সংগঠন। এসব সংগঠনের সবাই সশস্ত্র। স্ব-স্ব জাতির স্বার্থ উদ্ধারের কাজ করার কথা বলে গড়ে উঠলেও মূলত চাঁদাবাজি, হত্যা, খুন, গুম এবং নিজেদের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে পাহাড়কে আতঙ্কের জনপদ করে রেখেছে তারা। চুক্তি পরবর্তী পাহাড়ে অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি হলেও সন্ত্রাসীরা তাদের রং বদলিয়ে চাঁদাবাজি কার্যক্রম সমানতালে করে যাচ্ছে। পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে সশস্ত্র সংগঠনগুলো নিজেদের প্রভাব বলয়ে ভাগ করে নিয়েছে। খুন, গুম করে ওই সব এলাকায় প্রতিনিয়ত নিজেদের শক্তি জানান দিচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত-অস্থির রাখার হেন আয়োজন নেই, যা তারা না করছে। ভারতীয় পক্ষের সহায়তাপ্রাপ্ত সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ধর্ষণের নকল নাটক রচনা করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোও বাদ দেয়নি। শান্তিচুক্তির পরে সেনা ক্যাম্প সংখ্যা কমে যাওয়াকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একটি সুযোগ হিসেবে নিয়েছে। এ সুযোগে শক্তি সঞ্চয় করেছে। বিভিন্ন উৎস থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে চলছে। ইউপিডিএফ ও সহযোগীরা ভারতের মিজোরাম এবং ত্রিপুরায় স্থাপিত ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নির্বিচারে গোলমাল বাধায়। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ৯০টি, রাঙামাটিতে ৭০টি ও বান্দরবানে ৫০টিসহ ২১০টি ক্যাম্প থাকলেও পাহাড়ের বিস্তৃতি ও ভৌগোলিক জটিলতা বিবেচনায় তা যথেষ্ট মনে করছেন না নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় পর্যাপ্ত নজরদারি ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া ছাড়া সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা কঠিন। ক্যাম্প বাড়ানোর বিষয়টি সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে। তবে মাঠপর্যায়ে দায়িত্বপালনরত ইউনিটগুলো যতটুকু সক্ষমতা আছে তা নিয়েই তারা নজরদারি জোরদার করছে এবং সম্ভাব্য অপপ্রচারের মোকাবিলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।

শুধু চাঁদাবাজি নয়, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডেও ইউপিডিএফের সরাসরি হস্তক্ষেপের তথ্য আছে। এক হিসাব বলছে, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে অপহৃত হয়েছে প্রায় ৩৩২ জন; তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সদস্যরাও। একই সময়সীমায় এসব গোষ্ঠীর হাতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৮৯ জন; নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও- যাঁদের সংখ্যা ১৬ জন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনার রেকর্ডও রয়েছে। সমস্যাটি কেবল পার্বত্য চট্টগ্রামের নয়, বাংলাদেশের একক সমস্যাও নয়। বড় দাগের আঞ্চলিক সমস্যা। এ কারণে মাঝেমধ্যেই সমস্যাটিকে উসকে দেওয়া হয়। পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবিকে ঘিরে রাজনৈতিক তৎপরতার পেছনেও গভীর ষড়যন্ত্র। এখানে বিদেশি প্রভাব এবং বিভ্রান্তমূলক প্রচারণাও রয়েছে। একদিকে কিছু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ডিমিলিটারাইজেশন’ বা সেনা উপস্থিতি হ্রাসের দাবি তুলছে, অন্যদিকে বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে সেনাবাহিনীই এখনো পাহাড়ের শান্তি ও স্থিতিশীলতার সবচেয়ে বড় ভরসা।

পাহাড়ের সাধারণ মানুষের কাছেও সেনাবাহিনী নিরাপত্তার প্রতীক। দীর্ঘ সময় ধরে পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনী কেবল নিরাপত্তা রক্ষাই নয়, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্কুল, হাসপাতাল, সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ, চিকিৎসাসেবা, দূরবর্তী গ্রামে খাদ্যসহায়তা এসব কাজের বেশির ভাগই করেছে সেনাবাহিনী। এসব কারণে স্থানীয় জনগণের বড় অংশ তাদের ওপর আস্থা রাখে। বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির দুর্গম অঞ্চলে যারা বসবাস করেন, তারা জানেন সেনা টহল না থাকলে সেখানে রাতে শান্তিতে ঘুমানো কঠিন। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি চাইলে কেবল চুক্তির রাজনৈতিক দিক নয়, নিরাপত্তা বাস্তবতাও বিবেচনায় নিতে হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কমানো মানে শুধু পাহাড়ের মানুষকেই ঝুঁকিতে ফেলা নয়, বরং বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলা। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি কৌশলগত অঞ্চল দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত, যেখানে রোহিঙ্গা ইস্যু, সীমান্ত অস্থিরতা ও আন্তদেশীয় মাদক চোরাচালানের মতো সমস্যা জটিলভাবে জড়িত। এমন অঞ্চলে সেনাবাহিনী ছাড়া স্থিতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা অকল্পনীয়। পাহাড়ের মানুষ যেমন উন্নয়ন ও শান্তি চায়, তেমনি বাংলাদেশ চায় তার সীমান্তে স্থিতিশীলতা। এই দুই লক্ষ্য একে অপরের পরিপূরক।

সেনাবাহিনীর উপস্থিতি সেই ভারসাম্যের অন্যতম স্তম্ভ। একই সঙ্গে এটা ভুলে গেলে চলবে না, পাহাড়ে শান্তির প্রক্রিয়া কেবল নিরাপত্তা দিয়ে নয়, উন্নয়ন ও অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির মাধ্যমেই টেকসই হতে পারে। সেনাবাহিনী সেখানে একটি সেতুবন্ধের ভূমিকা পালন করছে যেখানে উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সম্প্রীতি একে অপরের সঙ্গে মিশে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘সেনা চিকিৎসাসেবা’ বা মেডিকেল ক্যাম্প, দুর্গম গ্রামে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, কৃষি ও পানি প্রকল্পের মতো উদ্যোগ স্থানীয়দের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন এনেছে।

এগুলো শুধু মানবিক কার্যক্রম নয়, আস্থার ভিত্তিও গড়েছে। দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানের বিকল্প নেই। স্মরণে রাখতেই হয়, দেশের তিন পার্বত্যাঞ্চলে সন্ত্রাস ও হত্যার ইতিহাস দীর্ঘ এবং বেদনাদায়ক। ব্রিটিশ শাসনের সময় এই অঞ্চল সরাসরি ব্রিটিশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। তখন স্থানীয় পাহাড়ি অঞ্চল শাসন ছিল রাজা ও কয়েকটি সম্প্রদায়ের আঞ্চলিক শাসকের হাতে। জমির মালিকানা ও প্রশাসনিক ক্ষমতা মূলত উপজাতীয় সমাজের হাতে রাখা হয়। পাকিস্তান আমলেও পার্বত্যাঞ্চল অবহেলার শিকার হয়। জমি দখল, প্রশাসনিক নিপীড়ন ইত্যাদি কারণে সামাজিক অস্থিরতা কেবল বাড়তেই থাকে। এর অনিবার্য পরিণতিতে ঘটতে থাকে সশস্ত্র একাধিক গোষ্ঠীর উত্থান।

বাহাত্তরে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসন, জমির অধিকার ও সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি তুলে ধরলেও সংঘাত থামেনি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অংশগ্রহণে বহু বাঙালি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর পরও বিষয়টি বহুবার প্রান্তিকীকরণ, অস্বচ্ছতা ও বিভাজনমূলক প্রচারণার মধ্যে থেকে যায়। ক্রমশ তা আরও ঢালপালা ছড়ায়। ১৯৮০ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে পার্বত্যাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ৪০০ সেনা এবং অন্তত ৩০ হাজার বাঙালি নিহত হয়। শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত ও সম্পদ ধ্বংসের শিকার হয়। ওই সময়ে তথাকথিত মানবাধিকারকর্মী, বামপন্থি ও বিভিন্ন ভিনদেশপন্থি বুদ্ধিজীবীর নীরবতা এবং কখনো উসকানিমূলক ভূমিকা সাদাচোখেই স্পষ্ট। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবে স্থায়ী সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়েছে। এ চুক্তি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দমাতে পারেনি। চুক্তির প্রক্রিয়ায় ইউপিডিএফ ও জেএসএসকে আত্মনিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চুক্তির পর অনেক জায়গায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো স্থানীয় রাজনীতি ও প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার করে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক দখলদারির ঘটনা নিত্যসংবাদে পরিণত হয়েছে। যার রেশ ও জের এখনো চলছে। বরং নতুন করে উসকানি আরও বাড়বাড়ন্ত। সঙ্গে যোগ হয়েছে বহুমুখী ও জটিল ভূরাজনৈতিক অনুষঙ্গ। যা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অংশগ্রহণমূলক নীতিনির্ধারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানে পার্বত্যাঞ্চলকে ভিন্ন আইনি পরিচয়ে ভাগ করা হয়নি, সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত পুরো দেশের মানুষের সার্বিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সীমান্তের হুমকি মোকাবিলার দায়িত্ব আমাদের সেনাবাহিনীকেই পালন করতে হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন অভিযানের শুরু থেকেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজে শামিল হচ্ছে অন্য বাহিনীগুলোও। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাটি বাংলাদেশের অন্য ৬১টি জেলার চেয়ে ভিন্ন প্রকৃতির। ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন’ মূলমন্ত্র সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেখানে কেবল নিরাপত্তা নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়াতেও নানা মাত্রায় কাজ করছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী পাহাড়ের অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কার্যকর করছে নানা পরিকল্পনা। অবিশ্বাস্য পর্যায়ে পাল্টে দিয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। কেবল পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন নতুন রাস্তা তৈরি নয়, ভূমিধস বা অত্যধিক বৃষ্টিতে ভেঙে পড়া রাস্তা মেরামত, যাতায়াতের সুবিধার্থে ছোট ছোট নদী ও খালের ওপর সেতু ও সাঁকো তৈরির কাজও করছে সেনাবাহিনী। নিঃসন্দেহে বলা যায়, পাহাড়ি জনপদের সামগ্রিক উন্নয়নে সদা জাগ্রত এ বাহিনীকে সেখান থেকে সরানোর পুরোনো খেলাটি নতুন করে জমানোর অপচেষ্টা না রুখলে কেবল পার্বত্যাঞ্চল নয়, গোটা দেশকেই ভুগতে হবে।

লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট