ঢাকা | নভেম্বর ২৫, ২০২৫ - ৯:২৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম

সীমান্তে নারী–শিশু পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে বাবুছড়ায় বিজিবির সচেতনতামূলক সভা

  • আপডেট: Tuesday, November 25, 2025 - 5:35 pm

মো: আল আমিন, দীঘিনালা

 

সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং নারী–শিশু পাচার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ০৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত এ সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ দেড় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন (০৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল ইসতিয়াক আহাম্মদ ইবনে রিয়াজ, এসপিপি। তিনি বলেন, “নারী ও শিশু পাচার এবং সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে সবাইকে আরও সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “০৭ বিজিবি খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের ৫৮ কিলোমিটার সীমান্ত রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে। চোরাচালান প্রতিরোধের পাশাপাশি নিরাপদ সীমান্ত নিশ্চিত করতে বিজিবি সদস্যরা সবসময় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে আসছে। এসব অপরাধ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

 

সভায় জানানো হয়, সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন অপরাধচক্র সক্রিয় থাকায় বিজিবি নিয়মিত সচেতনতা সভা, প্রচার কার্যক্রম এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে অপরাধ দমন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বক্তারা বলেন, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে পরিবার, সমাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নজরদারি জোরদার করা জরুরি। পাশাপাশি মাদক প্রতিরোধেও স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

 

মতবিনিময় সভায় ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা এম. আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মহিউদ্দিন নাসিরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকা গুরুত্বপূর্ণ ফিক্সড বর্ডার পয়েন্ট হওয়ায় নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম দমন ও নিয়ন্ত্রণে বিজিবি কঠোর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে নিয়মিত প্রচার, সচেতনতামূলক সভা, মেডিকেল ক্যাম্প, বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ‘সুন্দর সমাজ গঠন’ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতা ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।