ঢাকা | নভেম্বর ২৫, ২০২৫ - ৯:১৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম

আনোয়ারা–কর্ণফুলীর যৌথ উদ্যোগে হালদা নদীর মৎস্য প্রজনন সেমিনার

  • আপডেট: Tuesday, November 25, 2025 - 5:34 pm

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর অস্তিত্ব রক্ষা ও নদীভিত্তিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডার উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বাস্তবায়িত ‘হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ এ সেমিনারের আয়োজন করে। বাস্তবায়ন সহযোগী ছিল আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়।

 

সভায় সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন আনোয়ারা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা এবং কর্ণফুলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীম। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জেলে, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রধান অতিথি ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, হালদা নদী দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র। এই নদীকে বাঁচাতে হলে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনসাধারণ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়ম মানার মধ্যেই হালদাকে টিকিয়ে রাখার পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।

 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা বলেন, অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার, বালু উত্তোলন, শিল্পবর্জ্য ও অন্যান্য মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ড হালদার জন্য ভয়াবহ হুমকি। নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাঁর উপস্থাপনায় হালদা নদীর বর্তমান অবস্থা, মা মাছ সংরক্ষণ, ডিম সংগ্রহের ঐতিহ্য, চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি, অর্জন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, হালদার প্রজননক্ষমতা বজায় রাখতে নদীর গভীরতা, প্রবাহ এবং পানির মান অক্ষুণ্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি।

 

স্থানীয় জেলে ও ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা সেমিনারে অংশ নিয়ে বলেন, নদীতে অবৈধ জাল অপসারণের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থান ও নদী সংরক্ষণে তাদের অভিন্ন ভূমিকা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তারা নদীর পানি দূষণরোধে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কঠোর করার আহ্বান জানান।

 

সেমিনারের মাধ্যমে হালদা নদী ও এর মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সকল স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আয়োজকরা জানান, প্রকল্পের লক্ষ্য বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।