কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে ছিল সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রম
ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের লকডাউন ও নাশকতার পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে চলেছে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান।
কক্সবাজার অঞ্চল এবং শহর এলাকায় যেন কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য টহল কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
কক্সবাজারে যে কোনো প্রকার নাশকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী শহরের কলাতলী মোড়, বাস টার্মিনাল এলাকা, বিমানবন্দর রোড, লালদীঘিরপাড় এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে।
এছাড়াও লিংক রোড, রামু, কোটবাজার এবং উখিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট স্থাপন করে পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করেছে।
র্যাব ও পুলিশও সেনাবাহিনীর সঙ্গে একযোগে নাশকতা রোধে কার্যক্রম পরিচালনা ও তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। কক্সবাজার অঞ্চলে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় কোনো প্রকার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটতে সক্ষম হয়নি। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সেনাবাহিনী তৎপর রয়েছে।
এছাড়াও দেশ ও দেশের সকল প্রকার বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা রোধে সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রয়েছে।
অপরদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ছাত্র প্রতিনিধি নাশকতা রোধে মাঠে রয়েছে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অলক বিশ্বাস বলেন, জেলার সব উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট, টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছিল। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীদের চলাচল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানিমূলক প্রচারও নজরদারিতে রাখা হয়েছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গুজব বা উস্কানিমূলক কোনো কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি স্থানে বিশেষ নজরদারি রাখতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কক্সবাজারে পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল।











