আশুলিয়ায় জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি
ইউসুফ আলী খান।। বৈরী আবহাওয়ার কারণে
মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় তলিয়ে গেছে ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার রাস্তাঘাটসহ ঘরবাড়ি। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সকালের অফিসগামী লোকজন গুলো পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় বৃহস্পতিবারের টানা বৃষ্টিতে ময়লার পানি সড়কে ডেউ খেলছে। বর্ষার শেষে মুষলধারে এই বৃষ্টিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের এই অঞ্চলে জমেছে হাটু সমান পানি, কোথাও কোথাও কোমড় সমান।
আশুলিয়া একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা হওয়ায় এখানে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে বেশির ভাগ লোকই পোশাক শ্রমিক। সুতরাং কর্মস্থলে যাওয়া-আসার সময় সড়কে জলবদ্ধাতায় যে দুভোর্গ তৈরী হয় তাতে নারী-পুরুষ সকলকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
অন্যদিকে শুকনো মৌসুমে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের আশুলিয়ায় শিমুলতলা, জামগড়া এলাকায় জলবদ্ধা লেগেই থাকে, নিরসন না হওয়ায় হতাশ ছিলো এলাকাবাসীসহ সাধারণ জনগণ। এদিকে বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে সড়কে জমেছে কোমর পানি। পায়ে হেটে চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য সড়কের এই এলাকাটি। তাই দুর্ভোগ নিয়ে অফিস করছেন এলাকার পোশাক শ্রমিকসহ নানা শ্রেণীর পেশার কর্মজীবিরা। অপরদিকে এই জলাবদ্ধতা কে পুঁজি করে পোশাক শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে পরিবহন গুলো। জলাবদ্ধতার কারণে ডেঙ্গু সহ বাড়ছে বিভিন্ন পানি বাহিত রোগ।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বর্তমানে সড়কটি সড়ক ও জনপথের আওতাধীন নয়। এই সড়কটি এখন ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আওতাধীন। ফলে এই সড়কটির দায়-দায়িত্ব এখন এই প্রকল্পের। যদিও ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রক্ল্প দায়িত্ব নেওয়ার আগেও সড়কের এই সমস্যা ছিলো পুরানো।
এ বিষয়ে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, এখনো মুল ড্রেনেজ এর কাজ শুরু হয়নি। মূল ড্রেনের কাজ শুরু হবে দু-এক মাসের মধ্যেই। তখন আর এই সমস্যা থাকবে না। তবে এটা ঠিক রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। পানি যাওয়ার কোথাও কোন সুযোগ নাই। আমরা পাম্পও লাগিয়ে চেষ্টা করছি পানি নিষ্কাশন করার। সামনের বছর আর এই সমস্যা থাকবে না।