ঢাকা | নভেম্বর ৫, ২০২৫ - ১:০৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর অভিযান: নারী-শিশুসহ ২৫ জন উদ্ধার

  • আপডেট: Tuesday, November 4, 2025 - 5:57 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক।

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে পাহাড়ি এলাকায় বন্দি করে রাখা নারী ও শিশুসহ ২৫ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

গোয়েন্দা তথ্য ও পূর্বে আটক পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র একদল নারী-পুরুষ ও শিশুকে বন্দি করে রেখেছিল। তাদের মালয়েশিয়া পাচারের প্রস্তুতি চলছিল।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে পাচারকারীদের আস্তানা ঘিরে ফেলা হয়। অভিযানে ২৫ জন ভুক্তভোগীকে জীবিত উদ্ধার এবং দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। তবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

অভিযান শেষে উদ্ধারকৃতদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়।

উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, কিছু পাচারকারী বিদেশে উন্নত জীবন, উচ্চ বেতনের চাকরি ও অল্প খরচে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের এই পথে নিয়ে আসে। অনেকেই চাকরির আশায় নিজেদের সঞ্চিত অর্থ পাচারকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। পরে তাদের পাহাড়ি এলাকায় আটকে রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা চলছিল।

কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, “মানবপাচার একটি জঘন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের উপকূল ও সমুদ্র এলাকায় মানবপাচারসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম দমন ও প্রতিরোধে সর্বদা সচেষ্ট।”

তিনি আরও জানান, মানবপাচার প্রতিরোধে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধ রাখা যায়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মানবাধিকার কর্মীরা জানান, বছরের শেষ প্রান্তে সমুদ্রের আবহাওয়া শান্ত থাকায় অবৈধভাবে মালয়েশিয়া গমনের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এ সুযোগে কিছু দালালচক্র রোহিঙ্গা ও স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে মানবপাচারের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে।