ঢাকা | অক্টোবর ২৬, ২০২৫ - ১১:৩৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

থানচির বলিবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১ দোকান পুড়ে ছাই

  • আপডেট: Sunday, October 26, 2025 - 6:22 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত গভীরের দিকে বাজারের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে অনিল দাশের খাবারের দোকান থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা buckets, পানি ও বালির সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় অন্তত ১১টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

থানচি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দূরত্ব বলিবাজার থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

ব্যবসায়ীদের দাবি, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ছিল মুদির, চায়ের, ও খাবারের দোকান। আগুনে অন্তত ২০ লাখ টাকার পণ্য ও মালামাল নষ্ট হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মংলুং মারমা বলেন, “চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি বাজারের দিকে আগুনের লেলিহান শিখা। সবাই মিলে নেভানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু আগুন এত দ্রুত ছড়িয়েছে যে কিছুই বাঁচানো যায়নি।”

আরেক ব্যবসায়ী হ্লায়ইংচিং মারমা বলেন, “২০২৩ সালে একই বাজারে একবার আগুনে ৫০টি দোকান পুড়েছিল। আজ আবারও একই পরিণতি হলো। জীবনের শেষ সম্বলটুকুও হারালাম।”

বলিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা জানান, “আগুনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিই। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

থানচি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, “রাত সোয়া ২টার দিকে খবর পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।”

স্থানীয়রা বলছেন, বাজার এলাকায় স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা না থাকায় বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্গম থানচি অঞ্চলে স্থায়ী ফায়ার স্টেশন স্থাপন ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।