ঢাকা | অক্টোবর ২২, ২০২৫ - ৩:৫২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

লামা-আলীকদম সীমানার পাহাড়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য, সরেজমিনে দুই ইউএনও

  • আপডেট: Tuesday, October 21, 2025 - 5:17 pm

 

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, লামা (বান্দরবান)।

লামা-আলীকদম সীমানায় ম্যারাইনতং পাহাড়ে উঃ উইচারা ভিক্ষু গং কর্তৃক আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন পরিদর্শন করেন লামা-আলীকদম দুই উপজেলা নির্বাহী অফিসার। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ম্যারাইনতং পাহাড়ের দুই উপজেলার মৌজা সীমানা পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান দুই উপজেলার শীর্ষ কর্মকর্তাদ্বয়।

তদন্তকালে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আলম তৈন মৌজা হেডম্যান ও সাঙ্গু মৌজা হেডম্যানকে বিরোধপূর্ণ অংশে সীমানা নির্ধারণের পূর্বে কোনো কাজ না করার নির্দেশ দেন। এছাড়া তাঁবু টানিয়ে রাত্রিযাপন, বাইক পার্কিং, পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ লেনদেন না করাসহ নতুন করে কোনো কর্মকাণ্ড না করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে তিনি স্থানীয় ম্রো সম্প্রদায়ের কাছে তাদের দাবির কথা শুনেন।

এ সময় লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইতোপূর্বের ঘটনা বর্ণনা করেন। পরিদর্শনকালে লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবায়েদ আহমেদ ও লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, আলীকদম উপজেলা কানুনগো, লামা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, তৈন মৌজা হেডম্যান মংক্যানু মার্মা, সাঙ্গু মৌজা হেডম্যান চিংপাত ম্রো এবং স্থানীয় ম্রো ও মার্মা সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিগত ২৯ এপ্রিল/২৪ লামা উপজেলার সাঙ্গু মৌজা হেডম্যান লামা নির্বাহী আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ম্যারাইনতং বৌদ্ধবিহার পরিচালক উঃ উইচারা ভিক্ষুসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বিবরণের সারাংশ হচ্ছে, ম্যারাইনতং পাহাড়ের সাঙ্গু মৌজার অংশে হেডম্যান সিংপাত ম্রো তাদের দখলীয় ভূমিতে ৪ মাস পূর্বে তিনটি বাঁশ-ছনের কটেজ নির্মাণ করেন। ২৭ এপ্রিল দিনদুপুরে উঃ উইচারা ভিক্ষু গংয়ের ইন্ধনে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা কটেজগুলো ভেঙে দিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় উঃ উইচারা ভিক্ষু নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও কটেজের জায়গাটি তৈন মৌজার অংশ ও বৌদ্ধবিহারের বলে দাবি করেছিলেন।

ওই ঘটনায় লামা-আলীকদম উপজেলার দুই ইউএনও, দুই ওসি