ঢাকা | অক্টোবর ১৭, ২০২৫ - ৪:২৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

ভূমি কমিশনের বৈঠক স্থগিতের দাবিতে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপি’র স্মারকলিপি প্রদান

  • আপডেট: Thursday, October 16, 2025 - 4:15 pm

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।
আজ ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা খাগড়াছড় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাবা ফেরদৌসী বেগমের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপিতে আগামী ১৯ অক্টোবর রাঙামাটিতে নির্ধারিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক স্থগিতের দাবি জানানো হয়।
পিসিসিপি ঘোষিত দাবি সমূহ হলো:
১। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে।
২। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি এর কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে।
৩। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির উপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে।
৪। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির অধিকার দিতে হবে।
৫। কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির কারনে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ২০০১ সালের ভূমি কমিশন আইন অনুযায়ী বলবৎ করতে হবে।
৭। পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৮। বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তীকৃত, অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবেনা।

স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:
পিসিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, প্রচার সম্পাদক রিয়াদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি কলেজ কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম জুনায়েদ, পৌর কমিটির সদস্য সিরাজুম মনির রিয়াদ, মোঃ আব্দুল্লাহ, মেহেদী হাসান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

পিসিসিপি স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, কমিশনের গঠনে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ৫২% বাঙালি জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকায় একপেশে সিদ্ধান্তের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী। কমিশনের ৯ সদস্যের মধ্যে ৭ জন উপজাতি হওয়ায় বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভূমি অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

এছাড়া ৮ দফা দাবি পূরণের আগ পর্যন্ত ভূমি কমিশনের কোনো বৈঠক না করার অনুরোধ জানানো হয়। পিসিসিপি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে কমিশনের সভা রাজপথে প্রতিহত করা হবে।