ঢাকা | অক্টোবর ১৬, ২০২৫ - ৬:৩৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

কাপ্তাইয়ে চ্যারিটি শো “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য”

  • আপডেট: Thursday, October 16, 2025 - 10:48 am

 

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি। এই যেন সুর এবং ছন্দের অপূর্ব দ্যুতনা নয়, সুরের মাঝে লুকিয়ে আছে মানবতার গল্প। সেই সুরকে উপজীব্য করে একজন মৃত্যুপথযাত্রী সুরের মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা। আর এই মহতী উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি।

এই একাডেমির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, সংগীতগুরু ফনিন্দ্র লাল ত্রিপুরা কিডনি সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। তাঁরই চিকিৎসা সহায়তায় উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে গতকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চ্যারিটি শো “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য” অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কলকাতার জি বাংলার সারেগামাপা’র শিল্পী শুভ দাশের কণ্ঠে মান্না দে এবং কিশোর কুমারের গান মন্ত্রমুগ্ধের মতো হলভর্তি দর্শক শ্রবণ করেন তুমুল করতালিতে। তাঁর সাথে তবলা শিল্পী রোমেন বিশ্বাস রাজুর তবলা সঙ্গত অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

এছাড়া বেতার ও টিভি শিল্পী রাজেশ সাহা, সংগীত শিল্পী রিয়াজ ওয়ায়েজ, বেতার ও টিভি শিল্পী মো. রফিক, রওশন শরীফ তানি এবং তামান্না ইসলাম তাঁদের কণ্ঠের মাদকতায় মুগ্ধ করেন অনুষ্ঠানে আগত দর্শক-শ্রোতাদের। সংগীতগুরু ফনিন্দ্র লাল ত্রিপুরার কথা ও সুরে, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সংগীত পরিচালনায় একাডেমির শিল্পীদের কণ্ঠে সম্মেলক গান অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশিত হয়।

এর আগে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মো. রুহুল আমিন এই অনিন্দ্যসুন্দর আয়োজনের উদ্বোধন করে বলেন, “ফনিন্দ্র লাল ত্রিপুরার চিকিৎসা সহায়তায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, আমি তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আজকে প্রমাণিত হলো, মানুষের কল্যাণে মানুষ।”

চট্টগ্রাম হতে আগত সংগীত শিল্পী এবং বাকারসন গ্রুপের চেয়ারম্যান রিয়াজ ওয়ায়েজ এদিন এই গুণী শিল্পীর চিকিৎসা সহায়তায় নগদ ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা তুলে দিয়ে বলেন, “সত্যিই একজন গুণী শিল্পীর পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি ও আমার শিল্পী বন্ধু, সহকর্মীরা আনন্দিত। আসুন, মানবতার জয়গান গাই।”

এসময় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন বলেন, “ফনিন্দ্র লাল ত্রিপুরা কাপ্তাই উপজেলায় সাংস্কৃতিক বিকাশে যে অবদান রেখেছেন, তা কখনো ভোলার নয়।”