চন্দনাইশে গরু চুরি করতে গিয়ে আটক দুই

নুরুল আলম, চন্দনাইশ প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ধনার পাড়ায় গরু চুরি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পরে। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ওসমানের গোয়ালঘর থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বহরম পাড়ার শাহ আলমের পুত্র মোহাম্মদ নাজিম (২৮) এবং একই এলাকার মোহাম্মদ সেলিমের পুত্র জিহাদ (১৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ওসমানের গোয়ালঘর থেকে এর আগেও ২০২২ সালে দুইটি গাভী চুরি হয়েছিল। সে সময় থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। পেশায় চাষী ও অটোরিকশাচালক ওসমান কিস্তিতে ঋণ নিয়ে পুনরায় গরু কিনে বর্তমানে তিনটি গাভী ও দুইটি ষাঁড় পালন করছেন।
অতীতে চুরির ঘটনার কারণে ওসমান রাতের বেলা সতর্ক অবস্থায় থাকতেন। বুধবার গভীর রাতে তিনজন একটি মোটরসাইকেলযোগে তার গোয়ালঘরের সামনে আসে। একজনকে নামিয়ে দিয়ে বাকিরা কিছু দূরে অবস্থান নেয়। সন্দেহ হলে ওসমান প্রতিবেশী ও এলাকার চৌকিদার সাজ্জাদসহ কয়েকজনকে ডাকেন।
পরবর্তীতে তারা “গরু চোর, গরু চোর” চিৎকার করে ধাওয়া দিলে এক চোর পালানোর সময় ধরা পড়ে। আটক নাজিমের মোবাইল ফোন থেকে তার সহযোগীদের ফোন করলে তারা “কাজ শেষ, এখন আসো” বলে যোগাযোগ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাকি দুইজন মোটরসাইকেলসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওসমান ও স্থানীয়রা তাদেরও আটক করেন। মোটরসাইকেলটির নিবন্ধন নম্বর—চট্ট মেট্রো ল-১৩-০৫৮৭।
ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সকালে শতাধিক মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। একপর্যায়ে স্থানীয় গণ্যমান্যরা আটক দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে জানা গেছে, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার চাপের মুখে ‘বাবু’ নামের একজনকে ছেড়ে দিতে হয়েছে।
বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত হোসেন থানা পুলিশকে অবহিত করলে চন্দনাইশ থানার একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে আটক দুইজনকে থানায় নিয়ে যায়।
চন্দনাইশ থানার ইনস্পেক্টর (তদন্ত) রাকিব হাসান জানান, “আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”