ঢাকা | অক্টোবর ৬, ২০২৫ - ৯:৩৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম

বাঙ্গালহালিয়ায় মসজিদের পুকুরের মাছ জোরপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ

  • আপডেট: Monday, October 6, 2025 - 5:18 pm

রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি।

রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের সফিপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পুকুরের মাছ জোরপূর্বক আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ কমিটির তত্ত্বাবধানে থাকা এই পুকুরের মাছ সম্প্রতি কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে এলাকার জনস্বার্থে তৎকালীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সরকারি অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে পুকুরটি খনন করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ‘গ্রামীণ অবকাঠামো কাবিখা’ কর্মসূচির আওতায় পুকুরটি পুনরায় খনন করা হয়। সে সময় তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হেডম্যান ছিলেন ক্যমং চৌধুরী।

স্থানীয়রা জানান, অতীতে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পুকুরটি দখলের চেষ্টা করলেও এলাকাবাসীর ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগে তা ব্যর্থ হয় এবং পুকুরটি মসজিদের তত্ত্বাবধানে থাকে। এ নিয়ে ২০১৯ সালে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা আদালতে মিস মামলা নং ৮২/১৯ দায়ের হয়। তদন্ত শেষে আদালতের প্রতিবেদনে পুকুরের জমি খাস জমি হিসেবে চিহ্নিত হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে চন্দ্রঘোনা থানার তদন্ত কর্মকর্তাও বিষয়টি আদালতে রিপোর্ট আকারে পেশ করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হোসেন বলেন, “আমি ৩০ বছর ধরে এই এলাকায় আছি। পুকুরটি খননের পর থেকে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে এখানে মাছ চাষ করে আসছে। বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে একাধিকবার সরকারি টাকায় পুকুরটি সংস্কারও করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “অল্প কিছুদিন আগে মোঃ হালিম মোল্লা, সেলিম মোল্লা, তাদের ভাগিনা রুবেল ও সোহেলসহ কয়েকজন জাল ফেলে পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে গেছে। আমি তাদের বারবার নিষেধ করলেও তারা কথা শোনেনি।”

এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, পুকুরটি যাতে মসজিদের নিয়ন্ত্রণে থেকে সর্বসাধারণের কল্যাণে ব্যবহার হয় এবং কেউ ব্যক্তিগতভাবে দখল নিতে না পারে, সে জন্য প্রশাসনের তৎপরতা জরুরি।