ঢাকা | অক্টোবর ৬, ২০২৫ - ৫:০২ অপরাহ্ন

শিরোনাম

ঈদগাঁও পাহাড়ি জনপদে চিরুনি অভিযান: ডাকাতি-অপহরণ দমনে মাঠে ওসি ফরিদা ইয়াসমিন

  • আপডেট: Thursday, September 25, 2025 - 1:53 pm

ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার দুর্গম পাহাড়ি জনপদে দীর্ঘদিন ধরে চলা নিয়ন্ত্রণহীন ডাকাতি, অপহরণ ও ছিনতাই দমনে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন থানার নবনিযুক্ত ওসি ফরিদা ইয়াসমিন। দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহের মাথায় তিনি সরাসরি নেতৃত্ব দিয়ে শুরু করেছেন পাহাড়ি বন ও জঙ্গলে চিরুনি অভিযান।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়। এতে ওসি ফরিদা ইয়াসমিন ছাড়াও অংশ নেন জেলা পুলিশ লাইনের অতিরিক্ত সদস্য, রামু ও পেকুয়া থানা পুলিশ, ডিবির পুরুষ ও নারী পুলিশ সদস্যরা।

অভিযানের সময় ডাকাত ও অপহরণচক্রের বিচরণের সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করা হয়। স্থানীয় জনগণও এ অভিযানে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওসি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “ডাকাতি ও অপহরণের শেকড় নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। অপরাধ বন্ধ করেই এ স্টেশন ছাড়ব।” তিনি আরও জানান, নারী হলেও বড় ধরনের অভিযানের অভিজ্ঞতা তার রয়েছে এবং এবারও অপরাধ দমনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

অভিযানের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা নতুন ওসির সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এলাকাবাসীও তার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সফলতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য, ঈদগাঁও থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পূর্ববর্তী কর্মকর্তারা এ এলাকায় সক্রিয় ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণ বন্ধে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একের পর এক অভিযান পরিচালিত হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।

নতুন ওসি হিসেবে ফরিদা ইয়াসমিন ১৯ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেন। যোগদানের মাত্র দুই দিন পর, ২২ সেপ্টেম্বর ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কে সংঘটিত গণডাকাতি ও দুজন অপহরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। সেদিন রাতেই মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহৃতদের ছেড়ে দেয় ডাকাতচক্র। এর পরপরই তার নেতৃত্বে ধারাবাহিক অভিযান শুরু হয়, যা ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের আস্থা ও প্রশংসা কুড়িয়েছে।