ঢাকা | অক্টোবর ৬, ২০২৫ - ৯:১৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

কাপ্তাইয়ে জেলেদের নতুন ঘর করে দিলো সেনাবাহিনী

  • আপডেট: Wednesday, September 24, 2025 - 1:00 pm

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)।। রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের কাপ্তাই ১০ আর-ই ব্যাটালিয়ন একটি অসহায় দুস্থ জেলে পরিবারকে নতুন গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছে। ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা রাঙামাটি সদর উপজেলার ২নং মগবান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের একটি ছোট দ্বীপে বসবাস করে আসছে অসহায় পাহাড়ি জেলে পরিবারটি। দীর্ঘ বছর ধরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছিলেন জেলে ফুলেশ্বর চাকমা (৪৭)। বৃষ্টি, প্রখর রোদ ও ঝড়-তুফানে ওই জরাজীর্ণ ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি।

তাঁর সংসার তিন ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে। ঘরে ছিল না দরজা-জানালা, না ছিল বেড়া বা টিনের ছাদ। ছেঁড়া জাল পেঁচিয়ে ঘরের বেড়া বানিয়ে বছরের পর বছর কষ্টে দিন কাটাতেন এই পরিবার। কাপ্তাই ১০ আর-ই ব্যাটালিয়ন সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জেলে পরিবারটির জন্য নতুন একটি গৃহ নির্মাণ করে দেয়।

অসহায় জেলে ফুলেশ্বর চাকমা জানান, “আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাঙা ঘরে অনেক বছর ধরে কষ্ট করেছি। সেনাবাহিনী আমাকে নতুন টিনের ঘর তৈরি করে দিয়েছে। এজন্য আমি সেনাবাহিনীর জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

১১৫ নং মৌজার হেডম্যান সুদীপ দেওয়ান বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব ও অহংকার। ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারকে যে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তার জন্য আমরা সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।” ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাহামুদুল হক জানান, “এই পরিবারটি ভাঙাচোরা জরাজীর্ণ ঘরে বহুদিন ধরে কষ্ট করে আসছিল। সেনাবাহিনী নতুন গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ায় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

এদিকে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ১০ আর-ই ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এস এম সাদিক শাহরিয়ার, পিএসসি উপস্থিত থেকে অসহায় জেলে পরিবারের হাতে নতুন গৃহের চাবি তুলে দেন। এসময় তিনি বলেন, “আমরা দুস্থ অসহায় পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করি। অসহায় পরিবারের জীবন-জীবিকা ও এলাকার উন্নয়নে আমরা সহযোগিতা করে থাকি। জীবন-জীবিকা, শান্তি-শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও সম্প্রীতি বজায় রাখা সেনাবাহিনীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে শান্তি ও সম্প্রীতি উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে যাবে।”

এ সময় সেনাবাহিনীর অফিসার, হেডম্যান, কার্বারী ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।