ঢাকা | অক্টোবর ৬, ২০২৫ - ৫:২২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তারে ড. শমসের আলীর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে: স্মরণ সভায় বক্তারা

  • আপডেট: Saturday, September 20, 2025 - 2:00 pm

জাগোজনতা অনলাইন: ‘ড. শমসের আলী ছিলেন হীরকদ্যুতির মানুষ, পরমাণু বিজ্ঞানী, কৃতি অধ্যাপক ও গণমাধ্যম বক্তা। দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার ও গবেষণা কার্যক্রমে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিজ্ঞান ও ধর্মকে এক সমান্তরালে এনে তিনি কথা বলতেন। তার উপস্থাপনা ছিল অসাধারণ। তাকে নিয়ে একটি স্বারক গ্রন্থ বের করা উচিত।’

আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এম শমসের আলীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। বৃহত্তর যশোর ডিরেক্টরির নির্বাহী পরিষদ এই স্মরণসভার আয়োজন করে।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মো. আবদুল মান্নান।

সভায় বক্তব্য দেন- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মাহাবুবুল আলম গোরা, ইব্রাহীম কার্ডিয়াক ও বারডেম হসপিটালের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. আব্দুর রশীদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ঢাকা মেইলের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল, ডেইলি অবজারভারের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ডা. ফাতেমা আশরাফ, বৃহত্তর যশোর সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম ফিরোজ প্রমুখ।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন যশোর ডিরেক্টরির সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান বিপুল। সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির রেকর্ডকৃত বক্তব্য শোনানো হয়।

স্মরণসভায় বক্তারা প্রফেসর ড. এম শমসের আলীর জীবন ও কর্মকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, ‘এ দেশের শিক্ষা বিস্তারে ড. শমসের আলীর ভূমিকা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা তার। তিনি এটিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দেশের কল্যাণে কাজ করেছেন।’

প্রফেসর আব্দুল মজিদ বলেন, ‘ড. এম শমসের আলী উঁচু মাপের বিজ্ঞানী ও পন্ডিত ব্যক্তি ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। তাহলে তরুণ সমাজ তার কর্মের মাধ্যমে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারবে। তিনি ছিলেন ন্যায়, সাম্য ও ইনসাফের ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের চিন্তক।’
সভাপতির বক্তব্যে বিচারপতি আবদুল মান্নান বলেন, ‘ড. শমসের আলী একজন খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ছিলেন। দেশের গন্ডিতে তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার তিরোধানে সমাজ ও রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি যা বিশ্বাস করতেন, চিন্তা করতেন, অকপটে তা-ই বলতেন। গভীর দেশপ্রেমবোধ ছিল তার আদর্শ।’

মাহবুবুল আলম গোরা বলেন, ‘ড. শমসের আলী ছিলেন হীরকদ্যুতির মানুষ, পরমাণু বিজ্ঞানী, কৃতি অধ্যাপক ও গণমাধ্যম বক্তা। বিজ্ঞান ও ধর্মকে এক সমান্তরালে এনে তিনি কথা বলতেন। তার উপস্থাপনা ছিল অসাধারণ। তাকে নিয়ে একটি স্বারক গ্রন্থ বের করা উচিত।’