চবিতে সর্পদংশন বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা
মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, চবি প্রতিনিধি।।
সাপ শব্দটি শুনলেই কেমন যেন কৌতূহল জেগে উঠে জনমনে। আর সেই সাপকে মারতে পারলে তো কোনো কথাই নেই। এ যেন এক বিরাট কৃতিত্ব। কখনও আবার সেই দৃশ্য প্রত্যক্ষদর্শনের জন্য লেগে যায় জনসাধারণের ভিড়। বাংলা সিনেমা বা কবিরাজরাও কিন্তু কম যান না। তাদের ব্যবসাকে রমরমা করতে জনসচেতনতা বৈকি মানুষকে করে তুলেছে আরও কুসংসকারাচ্ছন্ন।আর এই সর্পভীতির ফলেই কৃষকের বন্ধু দাঁড়াশ থেকে শুরু করে শান্তশিষ্ট শঙ্খিনী কেউই রেহাই পায় না মারণাস্ত্র থেকে।আর মানুষের এই কুসংস্কারচ্ছন্ন মনোভাবের কারণেই প্রতিবছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষকে মৃত্যু বরন করতে হয়।
‘চিকিৎসা আছে সর্পদংশনে সরকারি হাসপাতালে সবখানে’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আজ তৃতীয় আন্তর্জাতিক সর্প দংশন সচেতনতা দিবসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে A Workshop for the young organizers on snake & snakebite management.
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ১১ টা নাগাদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে স্নেক এন্ড স্নেকবাইট এও্যারনেস কর্তৃক আয়োজিত হয় সাপ ও সর্পদংশন বিষয়ক কর্মশালা।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নিউমেরারি অধ্যাপক ড. এম ফরিদ আহসান।প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ ভেনম সেন্টারের মূখ্য গবেষক অধ্যাপক ডাঃ অনিরুদ্ধ ঘোষ।বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী এবং প্রভাষক ইব্রাহিম খলিল আল হায়দার।
পুরোদিনব্যাপী এ আয়োজনের সকাল সাড়ে আটটা থেকেই জনসচেতনতামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, সাপ ও সর্প দংশন বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শনী, সাপ প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন প্রশ্নত্তোর পর্বের আয়োজন করা হয়।এছাড়া রাত ৮.৩০ নাগাদও সাপ ও সর্পদংশন ব্যাবস্থাপনা বিষয়ে অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে স্নেক এন্ড স্নেকবাইট এও্যারনেস সংগঠনের পক্ষ থেকে।
স্নেক এন্ড স্নেকবাইট এও্যারনেস এর নির্বাহী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সাপ নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছি।সাপ নিয়ে সচেতনতা ও সর্পদংশনের ফলে মৃত্যুহার হ্রাসের লক্ষেই আমাদের আজকের এই আয়োজন”।