ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫ - ৮:৩২ অপরাহ্ন

শিরোনাম

খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

  • আপডেট: Thursday, September 11, 2025 - 1:41 pm

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। দীর্ঘদিন ধরে বিশুদ্ধ পানির জন্য ভোগান্তি ছিল খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার রেজামনি পাড়া ও কারিগরপাড়ার বাসিন্দাদের নিত্যসঙ্গী। পাহাড়ি এ দুই গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন ঝিরি ও কূপ থেকে পানি সংগ্রহ করতে হতো। এতে সময়, কষ্ট ও স্বাস্থ্যঝুঁকি ছিল অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের উদ্যোগে সেই সংকট নিরসন হলো।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে সোলার প্যানেলনির্ভর টেকসই সুপেয় পানি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ। এর ফলে রেজামনি পাড়া ও কারিগরপাড়ার প্রায় ১২০টি পরিবার এখন থেকে ঘরে বসেই পাচ্ছে বিশুদ্ধ পানির সুবিধা।
গত ২৯ মার্চ সেনাপ্রধান খাগড়াছড়ি জোনের রেজামনি পাড়া আর্মি ক্যাম্প পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কারবারিরা পানি সংকটের কথা তুলে ধরেন। তখন তিনি এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে টেকসই পানির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাসের ধারাবাহিকতায় বাস্তবায়িত হলো এ প্রকল্প।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. খাদেমুল ইসলাম, পিএসসি এবং জেলা পরিষদ সদস্যসহ সেনা রিজিয়ন ও জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন – “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সেনাপ্রধান একসময় এ ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এখানকার মানুষের প্রতি তাঁর বিশেষ টান থেকেই এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”
নতুন পানির ব্যবস্থা পেয়ে স্থানীয়রা স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা জানান-“আগে ঝিরি ও কূপ থেকে পানি আনতে হতো, যা ছিল কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। এখন নিজ বাড়িতেই পরিষ্কার পানি পাচ্ছি। এ উদ্যোগ আমাদের জন্য আশীর্বাদ।”
স্থানীয়রা মনে করছেন, এ প্রকল্প শুধু পানির সংকট দূর করেনি, বরং পাহাড়ি জনজীবনে উন্নয়নের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাদের প্রত্যাশা, সেনাবাহিনীর এমন মানবিক উদ্যোগ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।