ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ - ৩:২৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

চবিতে প্রথম বারের মতো জাতীয় আইন সম্মেলন

  • আপডেট: Sunday, September 17, 2023 - 6:20 pm

মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, চবি প্রতিনিধি।।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের উদ্যোগে চবিতে দুইদিনব্যাপী আয়োজিত হয়েছে জাতীয় আইন সম্মেলন।প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে আইন’।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর)সাড়ে ১০ টায় ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নিয়ে চবি আইন অনুষদের অডিটোরিয়ামে প্রথমবারের মতো শুরু  হয় জাতীয় আইন সম্মেলন।সম্মেলনে প্রায় ৭০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয় এবং  ৩০ প্যানেল স্পিকার বক্তব্য রাখেন।

আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক  ড. আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বোরহান বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।

অনুষ্ঠানের  সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত   ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে  ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং সিনিয়র জেলা ও সেশন জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।

সম্মেলনের ১ম দিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন চৰি আইন বিভাগের অধ্যাপক  ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী এবং মুখ্য আলোচক ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন  “মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একধরনের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। বিভিন্ন ধরনের আইন সেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে সাহায্য করে থাকে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানবজীবনে বাহ্যিক পরিবর্তন করে না বরং মানব সমাজের সামগ্রিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। সারা বিশ্বে আইনের শাসনে পরিবর্তন এসেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আইনের শাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে”।

সম্মেলনের সম্মানিত অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, “আইনের শাসন আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে। আমি আশা করি, দেশ ও জাতি এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আজকের এ আইন সম্মেলন ব্যাপক ভূমিকা রাখবে”।

প্রধান অতিথি  বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক আইন অত্যন্ত তাৎপর্য ধারণ করে। ন্যায়পরায়ণতা, ন্যায্যতা এবং সহযোগিতা বজায় রাখার মাধ্যমে আমরা বিশ্বমঞ্চে আমাদের অবস্থান সুরক্ষিত করি।

ন্যায়বিচারের রক্ষক হিসাবে আমরা নিপীড়িতদের সহায়তা প্রসারিত করার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতাকে উপেক্ষা করতে পারি না। সংঘাতের সময় আইন সুরক্ষা এবং সমাধান প্রদান করে”।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, “দেশে প্রথমবারের মতো এ সম্মেলন হচ্ছে, বিষয়টি খুবই চমকপ্রদ। আইন শিক্ষা এবং শেখানোর পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। দেশে মেধা যাচাই করা হয় মুখস্থবিদ্যার ভিত্তিতে। কিন্তু সমস্যা সমাধান, ব্যবস্থাপনার জ্ঞানও গুরুত্বপূর্ণ, যা অন্যান্য দেশে শেখানো হয়। বর্তমান সময়ের আলোকে আমাদের শিক্ষাদান পদ্ধতিতে পরিবর্তন প্রয়োজন”।

সম্মেলনের ২য় দিন বিষয়ভিত্তিক সেশন ও প্রযুক্তিগত সেশনের পর সমাপনী অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।সম্মেলনের ২য় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকার।  আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আর ফারুক সমাপনী বক্তৃতা দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় দুইদিনব্যাপী জাতীয় আইন সম্মেলন।