অস্থির নিত্যপণ্যের দাম, স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও

জাগো জনতা অনলাইন।। গত বছরের সেপ্টেম্বর ও চলতি বছরের সেপ্টেম্বর—দুই সময়ের বাজারদরের হিসাব মিলিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পণ্যের দামে তেমন বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে সাধারণ ভোক্তারা বলছেন, স্থিতিশীলতা সত্ত্বেও জীবনযাত্রার ব্যয় কমেনি, বরং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্যের কারণে তাদের অস্বস্তি কাটছে না।
সবজি, চাল, ডাল, তেল ও মসলাসহ প্রধান ভোগ্যপণ্যের দামের সঙ্গে গত বছরের তুলনা করলে দেখা যায়, কয়েকটি পণ্যে সামান্য বৃদ্ধি ও কোনো কোনোটিতে সামান্য কমলেও বাজারদরের চাপ ভোক্তাদের কাঁধ থেকে নামেনি। বিশেষ করে চাল, আটা, পেঁয়াজ, ডিম, সবজি ও ভোজ্যতেলের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কিনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতাসাধারণ।
ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, বাজারে কোনো একটি পণ্যের দাম কমলেও অন্যটি বেড়ে যায়, ফলে মাসিক খরচের বোঝা অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ নিত্যপণ্যের দামে কোনো স্বস্তি পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি ও ভোক্তা চাহিদার ওঠানামার কারণে বাজারদর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মূল্যস্ফীতি না কমলে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা আরও কমবে। তাই শুধু বাজারদর স্থিতিশীল করাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সমন্বিত পদক্ষেপ, যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাস্তবসম্মত পর্যায়ে আনা যায়।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। রাজনৈতিক দখলদার, ফড়িয়াদের সিন্ডিকেট কিছুটা ভাঙতে সক্ষম হয় নতুন সরকার। সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক থেকেও চাঁদাবাজি অনেকখানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়ীদের খরচ কমে যাওয়া, চাহিদার বেশি উৎপাদন হওয়ায় সবজিসহ কাঁচাবাজারে স্বস্তি দেখা দেয়।
গ্রাহকরা সে সময় দাবি করেন, গত এক যুগেও এত কম দামে সবজি কিনতে পারা যায়নি। নিম্ন ও মধ্যবিত্তরাও ব্যাগ ভরে বাজার নিতে পেরেছে। তবে গ্রাহকদের এই স্বস্তি বেশি দিন টেকেনি। টানা বৃষ্টি ও মৌসুম শেষের দিক হওয়ার অজুহাতে বলা চলে কাঁচাবাজরে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি মুদিপণ্যেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সরকার। এখনো কাঁচাবাজারে স্বস্তি আসেনি। নিত্যপণ্যের দাম কিছু দিন কিছুটা কম থাকলেও সম্প্রতি আবার চড়া হচ্ছে। এভাবেই নিজেদের অভিমত প্রকাশ করেন বাজার করতে আসা ক্রেতারা। তবে কোনো কোনো ক্রেতা-বিক্রেতা মনে করেন, বাজারে পণ্যের দাম কিছুটা বেশি থাকলেও সহনশীল পর্যায়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুশাসনের অভাবে বাজার অনেকটা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসনের আরও বেশি সক্রিয়তা। একইসঙ্গে সরকারের উচিত ভর্তুকি দিয়ে হলেও পণ্যের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা।
রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শ্যামবাজার, যাত্রাবাড়ী আড়তসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে গত এক বছরের তুলনামূলক বাজার দরের চিত্র দেখা যায়। গ্রাহকদের মধ্যেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জানা যায় অবশেষ বাজারের পরিস্থিতি।
এক বছরে সবজির দরে পার্থক্য
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কয়কটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর চড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, লতি ৮০ -১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০-২৪০ টাকা, টমেটোর দাম ছিল ১৬০-২০০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১০০-১২০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, দেশি শসা ১০০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৮০-১০০ টাকা, চাল কুমড়া ৭০-৮০ টাকা, লেবু হালিপ্রতি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
গত বছরের একই সময়ে এসব সবজির দাম ছিল- প্রতি কেজি পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, ভারতীয় টমেটো ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি গাজর ১০০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৬০-৭০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরচরা ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা করে।
এছাড়া মানভেদে প্রতিটি লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, চালকুমড়াও ৮০ টাকা করে বিক্রি হয়। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
গত বছরের সঙ্গে চলতি বছরের তুলনামূলক পার্থক্য করলে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজির দামে বড় পরিবর্তন হয়নি। তবে কিছু কিছু পণ্যে দাম ওঠানামা করেছে।
ভোক্তাদের দাবি, গত বছরের এই সময় দাম কাছাকাছি হলেও মাসখানেক আগেও সবজির দাম অনেক কম ছিল। এখন আবহাওয়াসহ নানা অজুহাতে আবার দাম বাড়িয়েছে।
সবজি বিক্রেতা নূরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর কিছু কিছু দাম বেশি। এ বছর টানা বৃষ্টির অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে। তাই দাম কিছুটা এখন চড়া। তবে বছর ব্যাপী চিন্তা করলে দেখবেন, চলতি বছরের শুরুতে সবজিসহ নিত্যপণ্যর দাম পানির মতো ছিল। সে সময় ভোক্তারা চাহিদা মতো সবজি খেতে পেরেছে।
যাত্রাবাড়ীর সবজি বিক্রেতা রাজন পাটোয়ারী জানান, বর্তমানে যে সবজির দাম বেশি দেখছেন তার কারণ এ বছর টানা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে গাছ মারা গেলে, ফলন কমে গেলে এমনেই সবজির দাম বেড়ে যাবে। চাহিদা থাকল কিন্তু ফলন হলো না, তাহলে তো অটোমেটিক দাম বেড়ে যায়।
মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষজন বলছেন, প্রতিদিনের আয়ের অর্ধেকেরও বেশি এখন শুধু বাজারে খরচ হচ্ছে। শ্রমজীবী পরিবারগুলো ডিম ও শাক-সবজির মতো সাধারণ খাদ্যও কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন—সিন্ডিকেটের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, অথচ কার্যকর তদারকি নেই।
বাজার করতে আসা গৃহিণী রাবেয়া বেগম জানান, ৭০-৮০ টাকা নিচে বাজারে কোনো সবজি নেই বর্তমানে। যদিও বছরের শুরুতে স্বস্তিতে বাজার করতে পেরেছি। এখন অনেকটা হিমশিম খেতে হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গরীবরা আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
আলুর দামে স্বস্তি পেলেও পেঁয়াজে অস্বস্তি
সবজির বাজার চড়া থাকলেও সস্তা রয়েছে আলু। পাশাপাশি রসুন ও আদার দামেও স্বস্তি পাচ্ছে গ্রাহকরা। বাজারগুলোতে প্রতিকেজি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, আদা, রসুন ১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
তবে হঠাৎ ৪০ টাকার পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা হয়ে যাওয়ার চিন্তার ভাঁজ পড়ে ক্রেতার কপালে। যদিও পরে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমানো হয়েছে।
এদিকে বেড়েছে ডিম ও মাছ-মাংসের দাম। মাছ বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ মাছ আকার ও ওজন অনুযায়ী ১৩০০-২৫০০ টাকা, রুই ৩৫০-৫৫০ টাকা, কাতল ৩৫০-৭০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০-১৫০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৬০০ টাকা, কৈ ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬০০ টাকা, শিং ৪০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, বেলে মাছ ১১০০-১৪০০ টাকা, মেনি মাছ ৮০০ টাকা, বোয়াল ৬০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা ১২০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
গত বছর এসব মাছের দাম ছিল- ইলিশ আকার ও ওজন অনুযায়ী ১০০০-১৮০০ টাকা, রুই ৩৮০-৬০০ টাকা, কাতল ৪০০-৫৫০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৬৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০-১৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকা, কৈ ২০০-৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৮০০ টাকা, শিং ৪০০-১২০০ টাকা, টেংরা ৫৫০- ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০-১২০০ টাকা।
এছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসি ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি ও কক মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিহালি লাল ডিম ৪৫ টাকা ও সাদা ডিম ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত বছরের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা, খাসির মাংসের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১৫ টাকা, কক মুরগির দাম বেড়েছে ৫০-৬০ টাকা, ডিমের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুদিপণ্যের বাজারদর
চালের বাজার কয়ক মাস ধরেই অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রতি কেজি চালের দাম আট থেকে দশ টাকা বেড়েছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মিনিকেট ৭২ টাকা, আটাশ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মোটা চাল ৫২ টাকায়, লাল বোরোধানের চাল ৯০ টাকা, সুগন্ধি চিনিগুঁড়া পোলার চাল ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্যাকেট পোলাওয়ের চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাওয়ের চাল মান ভেদে ৯০-১৩০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৫৫ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেশারি ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ১২০ টাকা, ডাবলি ৬৫ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং মাশকালাইয়ের ডাল ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, খোলা চিনি ১০৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতিলিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হয়।
এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, গত বছরের থেকে এই বছর প্রতি কেজিতে ছোট মসুরের ডালের দাম বেড়েছে ২০ টাকা, খেশারি ডালের দাম বেড়েছে ২০ টাকা, কৌটাজাত ঘিয়ের দাম বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা, এলাচির দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা, কালো গোল মরিচের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। আর প্রতি লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩১ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা, খোলা সরিষার তেলের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা।
এছাড়া প্রতি কেজিতে খোলা পোলাওয়ের চালের দাম কমেছে ১০-২০ টাকা, ছোট মুগ ডালের দাম কমেছে ১০ টাকা, বুটের ডালের দাম কমেছে ১০ টাকা, ডাবলির দাম কমেছে ১৫ টাকা, ছোলার দাম কমেছে ৫ টাকা, মাশকালাইয়ের ডালের দাম কমেছে ২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনির দাম কমেছে ২৫ টাকা, খোলা চিনির দাম কমেছে ২৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দার দাম কমেছে ২০ টাকা, দারুচিনির দাম কমেছে ৫০ টাকা, লবংগের দাম কমেছে ২৫০ টাকা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বাজার দর নিয়ে বলেন, বাজারদর বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে আমরা নিয়মিত কাজ করছি, এটা নতুন কিছু নয়। আপনারা জানেন, আমাদের লোকবল সংকট। এছাড়া হঠাৎ যেসব পণ্যের দাম বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা চিঠি দিয়ে অভিযান পরিচালনার তাগিদ করি৷
পেঁয়াজের দামের বিষয় তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল তা ঠিক। তবে গত বছরের তুলনা কম রয়েছে। হঠাৎ কেন বেড়ে গিয়েছিল এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছি। ইতোমধ্যে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণ এসেছে। আশা করি আরও কমে যাবে।
ভোক্তা দিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘আসলে ভোক্তারা নানাভাবে ঠকছেন। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। মূলত সিন্ডিকেট বলতে কিছু নেই। বেপারী ফরিয়াদের খপ্পরে পড়ে কিছু কিছু পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলোকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ রইল।’