আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার প্রধান ফটকের সামনে মানবন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেন প্রাথমিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিঃ মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, রেশমবাড়ি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিঃ এর চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক নয়ন, পোতাজিয়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিঃ এর চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিস্ট বিদায় হলেও ফ্যাসিস্টরা রয়ে গেছে মিল্কভিটায়। একারনেই নানা অযুহাতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করলেও প্রাথমিক সমবায়ীদের দুধের দাম দিচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা মাত্র। অথচ এই দুধই তারা বিক্রি করছে ১০০ টাকা লিটার। এদিকে ক্রমাগত ভাবে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দুধ উৎপাদনে খরচ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে প্রান্তিক খামারিদের দুধের দাম থেকে প্রতিলিটারে ৬০ পয়সা করে গবাদীপশুর জাত উন্নতকরন এবং চিকিৎসা বাবদ মিল্কভিটা কেটে রাখলেও সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। সেইসাথে মিল্কভিটার শেয়ার বাবদ প্রতিলিটারে ৪০ পয়সা করে রাখলেও সেসবের কোট সার্টিফিকেট দিচ্ছে না কতৃপক্ষ। এরফলে মিল্কভিটায় দুধ সর্বরাহে আগ্রহ কমছে প্রান্তিক খামারিদের।
সিরাজগঞ্জ-পাবনা মিল্কশেড এডরিয়ায় প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হলেও মিল্কভিটায় দুধ সর্বরাহ হচ্ছে মাত্র ২০ হাজার লিটার। এরফলে মিল্কভিটা আজ ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে।এসময় বক্তারা ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, প্রতি লিটার দুধে ১০ টাকা বৃদ্ধি না করা হলে মিল্কভিটায় পুরোপুরি দুধ সর্বরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মানবন্ধন শেষে বাঘাবাড়ি বড়াল সেতুর উত্তর পাশে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রাথমিক সমবায় সমিতির সদস্যরা।