ঢাকা | আগস্ট ২৩, ২০২৫ - ২:১০ অপরাহ্ন

শিরোনাম

যশোরের প্রবীণ সাংবাদিক রুকুনউদ্দৌলাহ আর নেই

  • আপডেট: Friday, August 22, 2025 - 5:21 pm

স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রবীণ সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দৈনিক সংবাদের যশোর অফিসের বিশেষ প্রতিনিধি রম্নকুনউদ্দৌলাহ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে অসুস্থ বোধ করলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তার স্ত্রী ও এক কন্যা সšত্মান রয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক রম্নকুনউদ্দৌলাহ দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন।

গত ১৯ আগস্ট তাকে ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি রিং পরানো হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তিনি গত বৃহস্পতিবারই যশোরে ফিরে আসেন।

কিন্তু শুক্রবার আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রম্নত হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটের নেয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে মারা যান। রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ডা. ফজলুল হক খালিদ ও ডা. আসাদুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার মৃত্যুতে যশোরের সাংবাদিক সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ শোক¯ত্মব্ধ। তাৎড়্গণিকভাবে হাসপাতালে ছুটে যান যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও তার ভাই একরাম উদ দ্দৌলস্না, দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, সাবেক সভাপতি মনোতোষ বসু, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সহ সভাপতি বি এম আসাদ, ফটো সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম আর খান মিলন।
রম্নকুনউদ্দৌলাহর জন্ম ১৯৫২ সালে। তার পিতা ছিলেন মরহুম মোকসেদ আলী।

শৈশব-কৈশোর কেটেছে নওগাঁয়, তার অগ্রজ আসফউদ্দৌলার কাছে। নওগাঁ কেডি স্কুলে পড়ার সময়ই বেজে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের দামামা। রাজনৈতিকভাবে সচেতন রম্নকুনউদ্দৌলাহ পরিবারের সঙ্গে চলে যান ভারতে। সেখানে শিলিগুড়িতে প্রশিড়্গণ নিয়ে তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। দীর্ঘ চার দশক ধরে তিনি দৈনিক সংবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তার নিয়মিত কলাম ‘গ্রাম-গ্রামাত্মরে’ বেশ জনপ্রিয় ছিল। কর্মজীবনে তিনি চ্যানেল আই ও রেডিও টুডেতে কাজ করেছেন।

এছাড়া যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্ফুলিঙ্গ, দৈনিক ঠিকানা, দৈনিক রানার এবং দৈনিক কল্যাণে বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর সময় তিনি পাড়্গকি ‘যশোরের কাগজ’-এর সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর জন্য তিনি ‘আইইডি পুরস্কার’সহ একাধিক সম্মাননা লাভ করেন।

 

সাংবাদিকতা ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সাংবাদিক সাজেদ রহমান বকুল বলেন, ‘সাংবাদিকতা ও মুক্তিযুদ্ধদুই ড়্গেেত্রই তিনি ছিলেন অনন্য এক মানুষ। মুক্তচিšত্মার সাহসী কণ্ঠস্বর আর কলমের মাধ্যমে সমাজকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

খ্যাতিমান সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধার আকস্মিক মৃত্যুতে যশোরসহ সারাদেশের সাংবাদিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শোক প্রকাশ করেছেন দৈনিক লোকসমাজের সম্পাদক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, প্রকাশক শাšত্মনু ইসলাম সুমিত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারম্নল কবীর নান্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ আলম, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোপীনাথ দাস, সাধারণ সম্পাদক এম আর খান মিলন।

এছাড়া তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক(খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমান এবং কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু, ভোরেরসাথী যশোরের সাধারণ সম্পাদক হারম্নন অর রশিদ প্রমুখ।