বুধবার (২০ আগস্ট) বাদ আছর রাঙ্গামাটি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের হাজী ধনমিয়া পাহাড় জমে মসজিদে এই মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আখেরি চাহার শোম্বাহ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আস সালীম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও হাজী ধনমিয়া পাহাড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল বাছিত খান। এ ছাড়া মাহফিলে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল বাছিত খান বলেন, পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বাহ শরীফ মুমিনের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও বেদনার দিবস। সম্মানিত দ্বিন-ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ (স.)-এর জীবনে এ দিনটি বিশেষভাবে স্মরণীয়। ফারসি ভাষায় ‘আখের’ অর্থ শেষ, আর ‘চাহার শোম্বা’ অর্থ বুধবার। অর্থাৎ হিজরি সনের সফর মাসের শেষ বুধবারকেই আখেরি চাহার শোম্বা বলা হয়। এ দিনে নবিজি (স.) শেষ বারের মতো রোগ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর শোকর আদায় করেছিলেন বলে প্রতি বছর মুসলমানরা শুকরিয়ার দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে থাকেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (স.)কে পূর্ণ সুস্থ দেখে হযরত সাহাবায়ে কেরাম (রা.) খুবই আনন্দিত হন, প্রত্যেকে নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী দান-সাদকা করেন। হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) তৎকালীন সময়ে ৫ হাজার দিনার গরিবদের দান করে দেন। হযরত উমার ফারুক (রা.) ৭ হাজার দিনার সাদকাহ্ করেন। হযরত ওসমান গনি (রা.) করেছিলেন ১০ হাজার দিনার। হযরত আলি (রা.) দান করেছিলেন ৩ হাজার দিনার। আর সাহাবী হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) এই খুশির সংবাদে ১০০ উট আল্লাহর রাস্তায় দান করেন। এ থেকে আমরা শিক্ষা পেতে পারি, নবির প্রতি সাহাবিদের ভালোবাসা কেমন ছিল। এক কথায় বলা যায়, নবি (স.)-এর প্রতি তাদের ভালোবাসা ছিল নিখাদ ও অতুলনীয়। উনারা নবিজির জন্য নিজের জীবন কুরবান করতে পর্যন্ত দ্বিধা করেননি।
তিনি আরো বলেন, প্রিয় নবিজী (স.)-এর প্রিয় উম্মতের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে— জীবনের সবকিছুর চেয়ে যেন আমরা নবিজিকে ভালোবাসি, উনার দেখানো পথে নিজেদের জীবন সাজাই। যেহেতু নবি (স.)-এর রোগমুক্তির দিনটি ছিল সমগ্র জগতের জন্য খুশির দিন, তাই এ দিনে আল্লাহর কাছে আমাদের ফরিয়াদ থাকবে, তিনি যেন যাবতীয় অকল্যাণ থেকে দূরে রেখে আমাদেরকে সুস্থ ও সুস্বাস্থ্যের সুন্দর জীবন দান করেন। আমিন!