আজ বুধবার সংগঠনের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাবীব আজমের পাঠানো এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বৱা হয়, বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার পাইন্দু হেডম্যান পাড়ায় মারমা শিক্ষার্থীকে নির্মম ভাবে ধর্ষণ করে তারই স্বজাতিরা, ধর্ষণকারীরা হলো- রুমা উপজেলার পাইন্দু হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা ক্যাহা ওয়াইং মারমা, ক্যওয়ং সাই মারমা, চহাই মারমা, উহাই সিং মারমা এবং ক্য সাই ওয়ং মারমা।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুতে পাইন্দু ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা রাংমেশে মারমা’র ছেলে শৈহাইনু মার্মা প্রথমে ছাত্রীটিকে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার সহপাঠী ও বন্ধুদের মাধ্যমে ঘটনাটি জানাজানি হলে শৈহাইনু’র চার বন্ধু বন্ধু ক্যায়া ওয়াইং, ক্য ওয়ং সাই, চহাই, উহাই সিং ও ক্য সাই ওয়ং ভয়ভীতি দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে একই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। নির্যাতন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে শেষ পর্যন্ত অসহায় কিশোরী ঘটনাটি পরিবারকে জানায়।
এদিকে ১৯ আগস্ট পাইন্দু হেডম্যান পাড়ায় কারবারী থোয়াইসা মার্মার সভাপতিত্বে এক সালিশ বসে। সেখানে পাইন্দু ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গংবাসে মার্মা এবং পাইন্দু মৌজার হেডম্যান মংচউ মার্মাগং-এর নেতৃত্বে অভিযুক্তদের মোটে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যদিও জরিমানার টাকা হাতে পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে সেজন্য পাড়ায় আটকে রাখা হয়েছে। পরে বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হলে বান্দরবানের পুলিশ সুপারে নজর আসে। তিনি রুমা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে আটক করেন।