ঢাকা | আগস্ট ২৩, ২০২৫ - ৮:৫৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে বরিশাল শেবাচিমের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

  • আপডেট: Monday, August 18, 2025 - 4:27 am

জাগো জনতা অনলাইন।। চিকিৎসকের ওপর হামলা ও কর্মস্থলে নিরাপত্তা না থাকায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৩টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেন তারা।

এদিন রাতে শেবাচিম হাসপাতালের মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। জরুরি বিভাগ থেকে ভর্তি হয়ে ওয়ার্ডে এসে চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর স্বজনরা দুর্ভোগে পড়ছে।

এর আগে রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবির আন্দোলনের ছাত্রজনতা শেবাচিম হাসপাতালের ফটকে বিক্ষোভ করে। তখন ছাত্র-জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে চিকিৎসকসহ তিনজন আহত হন বলে দাবি করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে গত ১৪ আগস্ট কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু হাসপাতাল পরিচালকের অনুরোধ ও রোগীর দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা। এ সময় পরিচালককে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়। কিন্তু আজ আবার আন্দোলনের নামে কিছু দুষ্কৃতকারী মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. দিলীপ রায়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ছাড়া হাসপাতালের স্টাফদের ওপরও হামলা চালায়। হাসপাতাল ভবনকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুরো হাসপাতালে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করা হলো।

মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. শাখাওয়াত হোসেন সৈকত বলেন, কর্মস্থলে নিরাপত্তা না থাকায় ওই ঘটনার পর থেকেই কর্মস্থল ত্যাগ করেন চিকিৎসকরা। এর ফলে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। তবে হাসপাতাল পরিচালকের বিশেষ অনুরোধে ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় এবং মুমূর্ষু রোগীদের স্বার্থে আমরা মিড লেভেল চিকিৎসকরা বিকেল ৫টার পর থেকে শুধু জরুরি সেবা চালিয়ে যাচ্ছি।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, চিকিৎসককে মারধর করায় দুপুরের পর ভয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ও স্বজনরা কান্না শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের দিয়ে আপাতত জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।