ঢাকা | এপ্রিল ১৬, ২০২৫ - ৬:২৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

পায়রা পয়েন্টের ‘ম্যাজিক চা’র জাদুতে মাতোয়ারা পর্যটকরা!

  • আপডেট: Tuesday, April 15, 2025 - 5:22 am

নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী।। পটুয়াখালীর লেবুখালীর পায়রা সেতুর পাশে গড়ে উঠেছে এক ব্যতিক্রমধর্মী পর্যটন কেন্দ্র পায়রা পয়েন্ট মার্কেট।

ঢাকা কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই ‘ ম্যাজিক চা’ হয়ে উঠেছে পর্যটকদের ক্লান্তি দূর করার এখানে নতুন এক আকর্ষণ।

এখানে চায়ের সাথে মিলছে বাহারী মশলাদার পান যা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সকলের কাছে। কদর বাড়ছে এই ব্যতিক্রমধর্মী চায়ের, যার স্বাদ নিতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত মানুষ।

স্পেশাল মালাই, রেগুলার ও মিনি এই তিন স্বাদের চায়ের সাথে রয়েছে পাহাড়ি ও আগুন পান। এর মধ্যে পাহাড়ি পান মিলছে ৩০ টাকায় আর অনন্য স্বাদের আগুন পান ১০০ টাকায়।

স্পেশাল মালাই চায়ের দাম ৫০ টাকা বাকী দু’টি ২০ টাকা করে। তবে দামে নয় অনন্য স্বাদ, পরিবেশন আর পরিবেশের কারণে স্থানীয়দের পাশাপাশি কুয়াকাটাগামী দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে প্রথম পছন্দ হয়ে উঠছে এই ‘ম্যাজিক চা’। অবস্থা এমনই যে আপনি কুয়াকাটা যাবেন কিংবা লেবুখালী অঞ্চলে আসবেন আর ‘ম্যাজিক চা’ এ বসবেন না তা হতেই পারে না।

নদী আর সেতুর সৌন্দর্য ঘেরা পায়রা পয়েন্ট মার্কেট যেন এখন মিশরের কায়রো। দিন -কিংবা রাত মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।

সেখানে মালাই চা থেকে শুরু করে স্পেশাল ম্যাজিক চা—নানান স্বাদের বাহারি চা পরিবেশন করা হচ্ছে অভিনব উপায়ে।

দোকানদারদের ভাষ্যমতে, এই চায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি কাপে স্বাদের সঙ্গে থাকে ভ্রমণের রোমাঞ্চ। কেউ খাচ্ছেন ঘন দুধের মালাই চা, কেউ আবার উপভোগ করছেন বিশেষ মশলা চা, যার নামই দেওয়া হয়েছে ‘ম্যাজিক চা’।

ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের কাছে এটি এখন নতুন এক চায়ের ঠিকানা। শুধু চা খেতে নয়, বরং প্রকৃতি ও পানির ধারে বসে এক কাপ চায়ের তৃপ্তি নিতে ভিড় করছেন অনেকেই।

পর্যটকদের একজন বলেন, “পায়রা সেতু ঘুরতে এসেছিলাম, কিন্তু এখানে এসে ম্যাজিক চা খেয়ে মনটাই ভালো হয়ে গেল। এমন স্বাদ আগে কখনও পাইনি।”

চায়ের কাপেও যে ভ্রমণের রসনা থাকতে পারে, তার বাস্তব উদাহরণ যেন এখন পায়রা পয়েন্ট মার্কেট। ব্যবসায়ীদের আশা, এ উদ্যোগ পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

পায়রা সেতু যেমন যাত্রীদের যাত্রা সহজ করেছে, তেমনি তার পাশে গড়ে ওঠা এই ছোট্ট চা-বাজার হয়ে উঠেছে এক ব্যতিক্রমী ভ্রমণ গন্তব্য—যেখানে প্রতিটি চুমুকে থাকে গল্প, স্বাদ ও ভালোলাগা।