৭ বছরের দণ্ড থেকে মুক্তি পেলেন আমানউল্লাহ আমান
জাগোজনতা অনলাইন : চাঁদাবাজির অভিযোগে করা এক মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
ওই মামলায় ২০০৮ সালের ৮ মে বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে আমানউল্লাহকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। এই আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।
আদালতে আমানের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী নাজমুল হুদা শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার।
পরে আইনজীবী নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। ফলে আমানউল্লাহ আমান এ মামলা থেকে খালাস পেলেন। আরও একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ড রয়েছে।
আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এক ব্যক্তি ২৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ওই মামলাটি করেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুনের এক ঘটনাসূত্রে ২০০৫ সালে একাধিক পর্বে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়। এ মামলায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ আমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তিনি জামিন পান।