ঢাকা | নভেম্বর ২৩, ২০২৪ - ২:২৪ অপরাহ্ন

হিজাব না পরা নারীদের চিহ্নিত করতে সি সি ক্যামেরা বসাচ্ছে ইরান, চলবে করা নজরদারি

  • আপডেট: Sunday, April 9, 2023 - 6:29 pm

মো: খায়রুল আলম খান: পুলিশের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এখন আর পর্দানসীন থাকতে চাইছেন না ইরানের নারীদের একাংশ। শপিংমলে, রেস্তরাঁতে, দোকানে একাধিক নারীকে দেখা যাচ্ছে তারা বোরখা বা হিজাব ব্যবহার করছেন না। মুখ, চুল না ঢেকেই তারা বেরিয়ে পড়ছেন, যা কিনা ইরানের আইনে অপরাধ।
সাধারণত সিসি ক্যামেরা বসানোর নানা উদ্দেশ্যে থাকে। মূলত সুরক্ষার জন্যই বসানো হয় এই নজরদারি ক্যামেরা। ইরানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম। বিভিন্ন পাবলিক লোকেশনে এই ক্যামেরা ইতিমধ্যে বসানো হয়েছে। কিন্তু সেটার উদ্দেশ্য হল যাতে হিজাব ছাড়া যে মহিলারা রাস্তায় বের হচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করা যায়।
রয়টার্স সূত্রে খবরে জানা যায়: ইদানিং নারীদের একাংশ ড্রেস কোড না মেনেই হিজাব ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন।

মূলত তাদের শায়েস্তা করতেই এবার এই নতুন পদক্ষেপ।
পুলিশ বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে প্রথম বার কেউ নিয়ম ভাঙলে তাকে একটি মুঠোফোন বার্তায় সতর্ক করা হবে।
আরেকটি সূত্রের খবরে জানা যায়: ইরানে কিছু নারী তাঁরা হিজাব ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন, এতে করে সে দেশের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগছে। তারই জেরে এবার এই নতুন নজরদারি।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ইরানে ২২ বছর বয়সী কুরদিশ তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল পুলিশের হেফাজতে। এরপরই রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন নারীরা। তারা তাদের হিজাব খুলে ফেলেছিলেন, মাহাসা আমিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনি হিজাব পরেননি বলে। এরপর থেকেই ইরানে হিজাব না পরার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। কার্যত প্রতিবাদের অঙ্গ হিসাবেই এই হিজাব না পরার প্রবণতা।
এমনকী পুলিশের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে পর্দানসীন থাকতে চাইছেন না নারীদের একাংশ। শপিংমলে, রেস্তরাঁতে, দোকানে একাধিক নারীকে দেখা যাচ্ছে তারা বোরখা, হিজাব ব্যবহার করছেন না। মুখ, চুল না ঢেকেই তারা বেরিয়ে পড়ছেন। এনিয়ে ইন্টারনেটে নানা ভিডিও দেখা যাচ্ছে। এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে ইরানে। তবে এবার সেই ‘নিয়ম ভঙ্গকারীদের’ আটকে দিতেই বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নিলো ইরান সরকার। সিসি ক্যামেরায় নজরে রাখা হবে সেই মহিলাদের যাঁরা হিজাব পরছেন না, মুখ ঢাকছেন না।
শনিবার পুলিশ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে যাতে বজায় রাখা হয় সেটা সকলকেই মেনে চলতে হবে।

ইরানে সাধারণত মহিলাদের চুল ঢেকে রাখতে হয়। ইসলামিক শারিয়া আইন অনুসারে তাদের কিছুটা ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয়। যাতে তাদের দেহের আকৃতি বাইরে থেকে বোঝা না যায়। বোরখা বা হিজাব বিহীন অবস্থায়
ধরা পড়লে এর জন্য শাস্তির ব্যবস্থাও রয়েছে। গ্রেফতার ও জেল ,জরিমানা উভই হতে পারে।
এ ছাড়াও গত ৩০ মার্চ ইরানের অভ্যন্তরীন মন্ত্রনালয়ের তরফে বলা হয়েছিল এই ওড়না হল ইরানের সভ্যতার অন্যতম ভিত।