জাগোজনতা অনলাইন : ভারতের গোয়েন্দাদের ল্যাবরেটরিতে শেখ হাসিনা, জি এম কাদেরদের জন্ম। হাসিনার দোসর জি এম কাদের এখনো এত বড় কথা বলার সাহস পায় কী করে?- সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

গুম হওয়া সবুজবাগ থানা ছাত্রদল নেতা সুজন ও ফরহাদকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার দক্ষিণ বাসাবো ওহাব কলোনি কাজী অফিস সংলগ্ন রাস্তায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আজকে হাসিনার দোসর জি এম কাদের বলেছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মিলে তাদের পক্ষে জনসমর্থন নাকি ৫০ শতাংশ, এই কথা বলার সুযোগ পায় কী করে জি এম কাদেররা? শেখ হাসিনার রক্ত ঝড়ানো যে দুঃশাসন, সেই দুঃশাসনের মধ্যে কত মায়ের যে বুক খালি হয়েছে, কত বোনের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ে পড়েছে, কত বাবা যে পাগল হয়ে গেছে সন্তানের শোকে, তার কোনো শেষ নেই। সেই শেখ হাসিনার ১৭ বছরের নির্মম শাসনকে যারা বৈধতা দিয়েছে তারা হলেন স্বৈরাচার এরশাদ, তার ভাই কাদের, এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। আজ গলা বের করে উঁচু গলায় কথা বলে কি করে?
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা সবাই জানি ওই ভারতের ল্যাবরেটরিতেই শেখ হাসিনার জন্ম, ওখানে জি এম কাদেরদের জন্ম ভারতের গোয়েন্দাদের ল্যাবরেটরিতেই রওশন এরশাদের জন্ম ওরা তো এ কথা বলবেই। এখন ঘাঁপটি মেরে থাকলেও তারা যেকোনো মুহূর্তে সুযোগ পেলে ছোবল দিবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবাই সমর্থন দিয়েছে গণতন্ত্রকামী মানুষরা সমর্থন দিয়েছে যাদের সন্তানদেরকে শেখ হাসিনা গুলি করে হত্যা করেছে। আপনাদের কাজ কি শুধুমাত্র গদির মধ্যে বসে থাকা? এসি রুমের মধ্যে বসে থাকা? আপনারা এই চার মাসে কি করেছেন দেখাতে পারবেন? আজকেও সয়াবিন তেল কেন ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি হবে? এজন্যই কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণ সমর্থন দিয়েছে? এখনো তো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে আওয়ামী লীগের লোকেরা।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।