হারুয়ালছড়িকে প্রস্তাবিত উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মু. আজিজ, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:
প্রস্তাবিত “উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলা”-এ হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নকে গণশুনানি-বিহীনভাবে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে হারুয়ালছড়ি জনস্বার্থ রক্ষা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এক মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনগণের বিপুল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. এ. কাশেম।
তিনি বলেন, “হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন ফটিকছড়ির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের ইউনিয়নের বুক চিরে প্রবাহিত ফটিকছড়ি খালের নামানুসারেই পুরো উপজেলার নাম ‘ফটিকছড়ি’। এই ইউনিয়নকে ফটিকছড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন করা মানে ইতিহাস ও পরিচয়ের শিকড় ছেঁটে ফেলা।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন ফটিকছড়ি উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে নারায়ণহাট ও বাগানবাজারের সঙ্গে এ দূরত্ব যথাক্রমে ১৫ ও ৩০ কিলোমিটার। প্রশাসনিক, শিক্ষাগত, বাণিজ্যিক ও চিকিৎসাসেবার সব কার্যক্রম ফটিকছড়ি উপজেলা সদরকেন্দ্রিক। তাই জনগণের সঙ্গে সদর দপ্তরের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, ঘনিষ্ঠ ও বাস্তবভিত্তিক।
অ্যাডভোকেট কাশেম আরও বলেন, “যেখানে হারুয়ালছড়ির জনগণ বর্তমান ফটিকছড়ি উপজেলায় সহজে সেবা পাচ্ছে, সেখানে নতুন উপজেলায় যুক্ত হয়ে কেন দুর্ভোগ বাড়াবে—তা বোধগম্য নয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, যথাযথভাবে কোনো গণশুনানি না করে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের জনগণের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, হারুয়ালছড়ির জনগণ নতুন উপজেলায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তখনই বিবেচনা করবে যদি প্রস্তাবিত উপজেলা সদর হারুয়ালছড়ির নিকটবর্তী এলাকা ভূজপুরে স্থাপন করা হয়। অন্যথায়, ফটিকছড়ির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় হারুয়ালছড়িকে বর্তমান ফটিকছড়ি উপজেলার অংশ হিসেবেই রাখতে হবে।
জনগণের দুর্ভোগ বাড়ায়, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হারুয়ালছড়িবাসী মেনে নেবে না।
মাস্টার মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে ও শাহাদাত আরমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—নুরুল ইসলাম মেম্বার, আবুল বাশর মেম্বার, গীতা মাঝি ত্রিপুরা, যতীন ত্রিপুরা, সাগর চৌধুরী, মাওলানা মোরশেদুল আলম, অ্যাডভোকেট আবু সালেহ, তৌহিদুল আলম ও ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।