স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় কেএনএফ’র পরিবারের পাশে বান্দরবান সেনা জোন

নুরুল আফসার, বান্দরবান।। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আত্মসমর্পণকারী সাবেক কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) সদস্যদের পরিবারের পাশে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম এরিয়ার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে বান্দরবান সেনা জোনের উদ্যোগে এ সহায়তা কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।
আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টায় সময় বান্দরবান সেনা জোনের মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান, পিএসসি, জোন কমান্ডার, বান্দরবান সেনা জোন।
প্রধান অতিথি বলেন, “শান্তি ও উন্নয়নের পথে চলতে হলে দরকার পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও সম্মানবোধ। যারা সশস্ত্র পথ ছেড়ে সমাজে ফিরে আসার সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তারা শুধু নিজেদের জন্য নয়, এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা মানুষের পাশে থেকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, সহমর্মিতা ও সহানুভূতি দিয়েই আমরা পাহাড়ে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে পারব। এ সহায়তা শুধু খাদ্য নয়, এটি একটি বার্তা — ‘আপনারা একা নন, আমরা একসাথে আছি’।”
তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই মানবিক সহায়তা শুধু পুনর্বাসনের সূচনা নয় বরং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার পথও খুলে দেবে। তিনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এই উদ্যোগে অংশ নিতে ও শান্তির সেতুবন্ধনকে আরও শক্তিশালী করতে আহ্বান করেন।
মানবিক সহায়তার আওতায় প্রত্যেকটি পরিবারকে প্রদান করা হয়: ৫০কজি চাল,৫কেজি ভোজ্যতৈল, ৫কেজি ডাল,৫কেজি আলু,৫কেজি পেঁয়াজ ৫কেজি লবণ!
এই সহায়তা কর্মসূচি আত্মসমর্পণকারী পরিবারদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন জোনাল স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন আদনান ফারাবি।
উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জোন উপ-অধিনায়ক এস এম আনিসুজ্জামান উদয়, অন্যান্য সেনা কর্মকর্তা , ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীবৃন্দ এবং মানবিক সহায়তাভোগী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সহায়তা প্রাপ্ত আত্মসমর্পণকারী পরিবারের সদস্যরা সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এই সহায়তা শুধু তাদের জীবনের এক নতুন সূচনার ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন, সমাজে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শক্তি জুগিয়েছে।
তারা ভবিষ্যৎ শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।