ঢাকা | ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ - ৪:১৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম

স্কুলে ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশ শুরু, যেভাবে জানা যাবে ফল

  • আপডেট: Thursday, December 11, 2025 - 2:17 pm

জাগো জনতা অনলাইন।। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য লটারির ফল প্রকাশ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করা হয়।

ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির ফল শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এবং মোবাইলে জানতে পারবে। ফলাফল দেখা যাবে https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে। এছাড়া যেকোনো টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে। টেলিটক মোবাইল ব্যবহারকারীরা লিখবেন: GSA<Space>Result<Space>User ID এবং পাঠাবেন 16222 নম্বরে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বড় স্ক্রিনে একের পর এক স্কুলের নাম এবং আবেদনকারীর আইডি ভেসে উঠছিল। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। যারা সরাসরি অনুষ্ঠান দেখতে চান, তারা Facebook লিংক থেকে লাইভ দেখতে পারেন।

ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লটারির পর শিক্ষার্থী, অভিভাবক অথবা প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোডকৃত ফলাফল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ই-মেইলে প্রেরণ করতে হবে এবং মাউশিকে অবহিত করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কমিটির সভা আহ্বান করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৪,০৪৮টি বিদ্যালয়ে মোট ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৩,৩৬০টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি আসন এবং সরকারি ৬৮৮টি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

লটারির ফল প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিরপেক্ষভাবে সুযোগ পাচ্ছেন এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত হচ্ছে। এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ, নিরাপদ এবং সময়সাশ্রয়ী বলে বিবেচিত হচ্ছে। এর ফলে স্কুলগুলোতে ভর্তি সংক্রান্ত কোন অনিয়ম বা প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ থাকছে না।

মাউশি আশা করছে, এই স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করবে এবং ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরও নিরপেক্ষ ও কার্যকর করবে।