জাগো জনতা অনলাইন।। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছয় মাসের সেমিস্টার পাঁচ মাস করার সিদ্ধান্ত হচ্ছে। সেশনজট কাটাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষাগুলো শেষ করতে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাইলে, আগে লাইব্রেরির সিট ও ক্লাসরুম সংকট দূর করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আন্দোলনের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত পুষিয়ে উঠতে পদক্ষেপ জরুরি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান আরো বাড়াতে হবে। আবাসিক হলগুলোতে গণরুম ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটলেও ক্যাম্পাসে রয়েছে নানা সংকট।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, লাইব্রেরিতে একসঙ্গে সবাই পড়ার মতো সিট সংকুলান হয় না। সিট সংখ্যা বাড়াতে হবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীরা যাতে সেশনজটে না পড়ে সেজন্য সেমিস্টারের সময় পাঁচ মাস করা হচ্ছে। চার মাস চলবে ক্লাস আর এক মাস পরীক্ষা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ সময় পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আগামী তিন সেমিস্টারে সময়কাল ছয় মাসের পরিবর্তে পাঁচ মাস করা হচ্ছে। সামনে একটা শীতকালীন ছুটি রয়েছে। ক্ষতি পোষাতে এই ছুটি কমিয়ে আনা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রিষ্মকালীন ছুটিও কমিয়ে আনা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ বলছেন, একাডেমিক মানোন্নয়নের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে। প্রতিটি অনুষদ স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।