ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

সেনা সরাচ্ছে রাশিয়া, তবে সিরিয়ায় থাকছে মূল ২ ঘাঁটি

  • আপডেট: Sunday, December 15, 2024 - 3:41 pm

জাগোজনতা অনলাইন : প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার উত্তারাঞ্চল এবং আলাউইতি পর্বতমালার অবস্থান থেকে সেনাদের সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া। তবে তাদের মূল দুটি ঘাঁটি থাকবে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন চার কর্মকর্তা।

এদিকে, শুক্রবার স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে হামেইমিম বিমান ঘাঁটিতে সামরিক সরঞ্জাম এদিক-ওদিক করছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে দু’টি আন্তোনোভ এএন-১২৪ মালবাহী বিমান দেখা গেছে।

সিরিয়ার বন্দর শহর লাতাকিয়ার রুশ বিমান ঘাঁটি থেকে রাশিয়ার একটি মালবাহী বিমান শনিবার লিবিয়ায় চলে গেছে বলে জানিয়েছেন সিরিয়ার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

গত রোববার সিরিয়ার বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হামেইমিম বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করল এ মালবাহী বিমান।

ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, আগামীতে আরও বিমান হামেইমিম ঘাঁটি ছাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সিরিয়ার সামরিক ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, মস্কো তাদের বাহিনীগুলোকে ফ্রন্ট লাইন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া তার প্রধান দুটি ঘাঁটি থেকে সরে আসছে না এবং বর্তমানে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরে আসার কোনও ইচ্ছাও নেই।

মস্কো জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিরুদ্ধে তাদের প্রচেষ্টা বজায় রাখতে সিরিয়ায় লাতাকিয়ার হামেইমিম বিমান ঘাঁটি ও তার্তুসের নৌঘাঁটি ধরে রাখতে চায়।

আসাদের সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মতে, কিছু সরঞ্জাম মস্কোতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে এই পর্যায়ে তাদের লক্ষ্য হচ্ছে পরিস্থিতির নির্দেশ অনুযায়ী পুনরায় সংগঠিত হওয়া এবং পুনরায় মোতায়েন করা।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, ঘাঁটিগুলো নিয়ে সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে আলোচনা করছে রাশিয়া।

এদিকে নতুন অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ এক জ্যেষ্ঠ বিদ্রোহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি এবং আসাদ সরকার ও মস্কোর মধ্যে অতীত চুক্তির বিষয়টি আলোচনায় আসেনি।

তবে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাশিয়ার একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে রাশিয়া তাদের ঘাঁটি থেকে সরে আসছে না।

সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা আহমাদ আল-শারা রুশ ঘাঁটিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান কীভাবে দেখেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।

রাশিয়া ক্ষমতাচ্যুত আসাদের দীর্ঘদিনের মিত্র ছিল। বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখল করার পর দেশে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া আসাদকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া।