জাগো জনতা অনলাইন: অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে সাত দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

তারা জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে ও সংস্কারের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ ও সকল স্থানীয় নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে দলটির মহাসচিব ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানায়।
ইসলামী আন্দোলনের সাত দফা প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ১) বিগত ক্ষমতাসীন দলগুলো যেভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনকে দলীয় এবং ক্ষমতার অশুভ প্রভাব খাটিয়ে বিতর্কিত ও ব্যর্থ করেছে তা থেকে উত্তরণের জন্য সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
২) সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনী কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল এবং দলনিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য প্রশিক্ষণ ও দিক নির্দেশনা দিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩) সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেশের গৌরব সেনাবাহিনীকে শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয় বরং প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সেনা সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে ও সংস্কারের ভিত্তিতে জাতীয় এবং সকল স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে।
৫) শতভাগ জনমতের মূল্যায়নের মাধ্যমে একটি কার্যকর সংসদ গঠনের লক্ষ্যে সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
৬) ফ্যাসিস্ট, খুনি, মানবতাবিরোধী অপরাধী ও আধিপত্যবাদী শক্তির এজেন্ট আওয়ামীলীগ ও তার সকল দোসর ও সহযোগী দলকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা এবং তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
৭) দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, টেন্ডারবাজ ও খুনিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
সিইসির সাথে বৈঠক শেষে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যমান পদ্ধতি বাতিল করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এখন গণদাবি। এই দাবি নিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাব। আমরা সংসদের নিম্ন কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চিই। তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এখনো লেভেল প্লেয়িং এখনো অনুপস্থিত। আমাদের নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া পরিবেশের ওপর নির্ভার করবে। এখনো পিআর পদ্ধতি না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া কঠিন। আমরা একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাস যোগ্য নির্বাচন চাই। এ জন্য যা করণীয় সেটা আমরা করতে বলেছি।
সিইসির সাথে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।