গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে ডিমের চরের দক্ষিণ পাশের সাগরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান জেলেরা। পরে বন বিভাগ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করেন।
সোমবার দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত মৃতদেহ মোংলা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে, গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে কচিখালী ডিমের চরে সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান মাহিদ আব্দুল্লাহ। এরপর থেকে বন বিভাগ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তাকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আসছিল।
নিহত মাহিদ আব্দুল্লাহ ঢাকার মিরপুর ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. শেখ সুলতান মাহমুদ আসাদের ছেলে। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার বাসিন্দা।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা পরবর্তী সময়ে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেবে।”
এর আগে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ৭৫ জনের একটি পর্যটক দল নিয়ে ‘দি এক্সপ্লোরার’ নামের একটি লঞ্চ গত শুক্রবার শরণখোলা স্টেশন অফিসের অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। তাদের ভ্রমণ সূচিতে কচিখালী, কটকা, ডিমের চরসহ একাধিক দর্শনীয় স্থান অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভ্রমণের প্রথম দিন কচিখালিতে ঘটনাটি ঘটে।