আটক দস্যুবাহিনীর সহযোগীর নাম মোঃ সোলাইমান (৫০)। তিনি খুলনা জেলার কয়রা থানার বাসিন্দা। ১১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে এতথ্য নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৮ নভেম্বর শনিবার মধ্যরাত ২ টায় কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ও বিসিজি স্টেশন কয়রা এর আভিযানিক দল সুন্দরবনের খাশিটানা খাল সংলগ্ন মুরুলি খাল ও ছেড়াখাল এলাকায় দুলাভাই বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সে সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত দুলাভাই বাহিনী কোস্ট গার্ড বোট লক্ষ্য করে ভারী গুলি বর্ষণ করলে আত্মরক্ষার্থে কোস্ট গার্ড সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। অতঃপর ডাকাত সদস্যরা রাতের অন্ধকারে বনের ভেতর পালিয়ে যায়। ঘটনার সূত্র ধরে, দুলাভাই বাহিনীর এক ডাকাত সহযোগী মোঃ সোলায়মান (৫০) কে খুলনা জেলার কয়রা থানা হতে আটক করা হয়।
ওই ব্যক্তির দেওয়া তথ্য মোতাবেক ১১ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৪ টায় কোস্টগার্ড স্টেশন কয়রা কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কোস্টগার্ড ১ টি একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড তাজা গোলা, ২৬ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৪৪ টি চকলেট বোমা, ৩০ টি মোবাইল, ১ টি বাইনোকুলার, ১ টি ওয়াকি টকি, ৪ টি দেশীয় অস্ত্র ও ২০ গ্রাম গাঁজাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য উপকরণসমূহ জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ দুলাভাই বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলো। জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং অন্যান্য আলামতসহ ও আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।